ড্রাগন ফলের উপকারিতা: ড্রাগন বাংলাদেশে ফল চাষে উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় একটি ফল। এটি দ্রুত বর্ধনশীল ক্যাকটাস প্রজাতির বহুবর্ষী উদ্ভিদ। লাল রঙের ড্রাগন ফল এন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এছাড়াও এটি ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, লাইকোপেন, ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ।
পোস্টের বিষয়বস্তু
ড্রাগন ফল এর উপকারিতা
ড্রাগন ফল বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। যা সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।
১) ভিটামিন-বি খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে।
২) ক্যালসিয়াম মজবুত দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে।
৩) হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ।
৪) শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫) ফলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ খুবই কম তাই ডায়োবেটিক রোগীরাও ফল খেতে পারে।
৬) ফলে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় কোষ্টকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
৭) রঙ্গিন ড্রাগন ফলে লাইকোপেন নামক উপাদান থাকে যা জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৮) এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের স্বাভাবিক বার্ধক্য বিলম্বিত করে।
৯) ত্বকের ভাজ পড়া বন্ধ করে ।
১০) ড্রাগন ফল, শশা এবং মধুর মিশ্রণ মুখে ব্যবহার করলে মুখের রোদ পোড়া দাগ দূর করে এবং লাবণ্যতা বৃদ্ধি করে।
১১) এছাড়া যারা চুলের রঙ ব্যবহার করেন তাদের চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় ড্রাগন ফলের পেষ্ট ব্যবহার করা হয়।
১২)ক্যারোটিন সমৃদ্ধ থাকায় চোখ ভালো রাখে।
১৩) আঁশের পরিমাণ বেশি থাকায় হজমে সহায়তা করে। এছাড়া এর আঁশ শরীরের চর্বি কমায়।
১৪)এই ফলে বিদ্যমান প্রোটিন শরীরের যাবতীয় বিপাকীয় কাজে সহায়তা করে।
১৫)এর ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত ও দাঁত মজবুত রাখে।
১৬) ভিটামিন বি-৩ রক্তের কোলেস্টেরল কমায় এবং ত্বক মসৃণ রাখে।
১৭)ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক,দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ক্যাটায়ন কাকে বলে ? ক্যাটায়ন ও অন্যায়ন এর পার্থক্য
ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক
ড্রাগন ফলের (Dragon Fruit) কিছু ক্ষতিকর দিক বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিম্নরূপ:
যদিও ড্রাগন ফল সাধারণত পুষ্টিকর ও উপকারী, তবে অতিরিক্ত বা নির্দিষ্ট অবস্থায় খেলে কিছু সমস্যা হতে পারে:
- কিছু মানুষের ড্রাগন ফলে থাকা প্রোটিনের প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে।
- অতিরিক্ত আঁশ (fiber) থাকায় বেশি খেলে গ্যাস, ফাঁপা, ডায়রিয়া হতে পারে।
- ফলটিতে কিছু পরিমাণ অক্সালেট থাকতে পারে, যা কিডনির জন্য অতিরিক্ত খেলে ক্ষতিকর হতে পারে (বিশেষ করে যারা কিডনির পাথরের ঝুঁকিতে আছেন)।