অজু ভঙ্গের কারণ গুলো ইসলামি শরিয়তের আলোকে নির্ধারিত হয়েছে। নিচে ওজু ভঙ্গের প্রধান কারণগুলো উল্লেখ করা হলো
অজু ভঙ্গের কারণ সমূহ
১. প্রাকৃতিক কারণে
-
পেশাব করা
-
পায়খানা করা
-
গ্যাস/বায়ু নির্গমন (ফার্ট করা)
এই তিনটি সবচেয়ে সাধারণ ও স্পষ্ট কারণ।
২. শরীর থেকে রক্ত বা পুঁজ বের হওয়া
-
শরীরের এমন স্থানে ক্ষত হয়ে রক্ত, পুঁজ বা পানি বের হলে, যদি তা প্রবাহিত হয় (গড়িয়ে পড়ে), তাহলে অজু ভেঙে যায়।
-
তবে রক্ত শুধু দেখা গেলেও যদি তা না গড়িয়ে পড়ে, তাহলে ওজু ভঙ্গ হবে না (হানাফি মতে)।
৩. বমি হওয়া
-
মুখ ভরে বমি হলে ওজু ভেঙে যায়।
-
অল্প বমি হলে অজু ভঙ্গ হয় না।
৪. নিদ্রা
-
এমন ঘুম যাতে সংবেদনশক্তি হারিয়ে যায় (গভীর ঘুম), তাতে অজু ভেঙে যায়।
-
তবে বসা অবস্থায় যদি ঘুমে মাথা ঝুঁকে না পড়ে, তাহলে ওজু ভঙ্গ হয় না।
৫. মাতাল বা সংজ্ঞাহীন হওয়া
-
মাতাল হওয়া, জ্ঞান হারানো, অজ্ঞান হওয়া—এই সব অবস্থায় ওজু ভেঙে যায়।
৬. নারী-পুরুষ স্পর্শ
-
নারী ও পুরুষ পরস্পর স্পর্শ করলে—
-
হানাফি মতে: শুধুমাত্র স্পর্শে অজু ভাঙে না, যদি কামভাব না থাকে।
-
শাফেঈ মতে: স্পর্শ হলেই অজু ভেঙে যায়।
-
৭. হাসি
-
নামাজের মধ্যে জোরে হাসা (যাতে পাশে থাকা লোক শুনে ফেলে) ওজু ভঙ্গ করে।
-
কিন্তু নামাজের বাইরে হাসলে অজু ভাঙে না।
অজু ভঙ্গের কারণ সংক্ষেপে:
পেশাব, পায়খানা, গ্যাস নির্গমন, প্রবাহিত রক্ত/বমি, গভীর ঘুম, জ্ঞান হারানো — এগুলোই মূলত ওজু ভঙ্গের কারণ।