অধ্যবসায় রচনা মানুষের জীবনে সফলতার মূল চাবিকাঠি । এটি এমন এক গুণ, যা মানুষের কঠিন পরিশ্রম, ধৈর্য ও লক্ষ্যপানে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি জোগায়।
অধ্যবসায় রচনা
অধ্যবসায় মানুষের একটি মহৎ গুণ। এর অর্থ হচ্ছে অক্লান্ত চেষ্টা, ধৈর্য ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাওয়া। জীবনে সাফল্য অর্জন করতে হলে অধ্যবসায় অপরিহার্য। শুধু প্রতিভা বা সৌভাগ্য দিয়ে জীবনের লক্ষ্য পূরণ করা যায় না। অধ্যবসায়ের মাধ্যমে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়।
মানুষের জীবনে বাধা-বিপত্তি আসবেই। কিন্তু যে ব্যক্তি ধৈর্যের সঙ্গে চেষ্টা চালিয়ে যায়, সে-ই শেষ পর্যন্ত সফল হয়। যেমন মাকড়সা বারবার জাল বুনতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হয়েও থেমে থাকে না। অবশেষে সে সফল হয়। একইভাবে এডিসন, নিউটন প্রভৃতি বিজ্ঞানীরাও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আজ বিশ্ববিখ্যাত হয়েছেন।
অধ্যবসায় শুধু পড়াশোনায় নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। কৃষক জমিতে ফসল ফলায় দিনের পর দিন পরিশ্রম করে। শিল্পী তার সৃষ্টিকে নিখুঁত করতে অবিরাম অনুশীলন করে। খেলোয়াড়ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে কৃতিত্ব অর্জন করে।
আমরা যদি জীবনে বড় হতে চাই, তবে অধ্যবসায়কে সঙ্গী করতে হবে। ব্যর্থতাকে ভয় না পেয়ে বারবার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। অধ্যবসায়ী মানুষ কখনো হাল ছাড়ে না, আর হাল না ছাড়ার মনোভাবই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
উপসংহার:
অধ্যবসায় মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ। এটি মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়। তাই আমাদের উচিত অধ্যবসায়কে জীবনের মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করা।