আদার উপকারিতা ও অপকারিতা: আদা (Ginger) একটি বহুল ব্যবহৃত ভেষজ মসলা, যা শুধু রান্নায় নয় বরং ওষধি গুণেও ভরপুর। এর উপকারিতা যেমন অনেক, তেমনি কিছু ক্ষেত্রে অপকারিতাও হতে পারে। নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
আদার উপকারিতা ও অপকারিতা
আদার উপকারিতা
-
হজমে সহায়তা করে – বদহজম, গ্যাস, বমি বমি ভাব ও পেটের ব্যথায় উপকারী।
-
বমি ও বমি বমি ভাব কমায় – বিশেষ করে গর্ভাবস্থার সকালে বমি বমি ভাব বা গাড়ি/জাহাজে ভ্রমণের সময় মোশন সিকনেসে কার্যকর।
-
প্রদাহ কমায় – আদায় থাকা জিঞ্জারল (Gingerol) শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
-
ঠাণ্ডা-কাশি প্রতিরোধে সহায়ক – গরম আদা চা সর্দি, কাশি ও গলার ব্যথা উপশমে কার্যকর।
-
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে – রক্ত পাতলা করতে সাহায্য করে, ফলে হার্টের স্বাস্থ্যে ভালো প্রভাব ফেলে।
-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে – অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
-
পেশী ও জয়েন্টের ব্যথা কমায় – আর্থ্রাইটিস বা ব্যথাজনিত সমস্যায় উপকারী।
-
ওজন কমাতে সহায়ক – বিপাকক্রিয়া (metabolism) বাড়াতে সাহায্য করে।
আদার অপকারিতা
-
অতিরিক্ত সেবনে হজমের সমস্যা – অতিরিক্ত খেলে গ্যাস্ট্রিক, ডায়রিয়া বা পেট জ্বালা হতে পারে।
-
রক্ত পাতলা হওয়ার ঝুঁকি – রক্ত পাতলা করার ওষুধ (যেমন: Warfarin, Aspirin) খেলে আদা বেশি খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।
-
লো ব্লাড প্রেসার – যাদের রক্তচাপ কম, তাদের বেশি আদা খেলে মাথা ঘোরা বা দুর্বলতা হতে পারে।
-
গর্ভাবস্থায় ঝুঁকি – যদিও অল্প আদা বমি কমায়, তবে বেশি পরিমাণে খেলে গর্ভপাত বা হরমোনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
-
অ্যালার্জি – কারও কারও শরীরে চুলকানি বা অ্যালার্জি হতে পারে।
সঠিক পরিমাণে আদা খেলে এটি ওষুধের মতো কাজ করে, কিন্তু অতিরিক্ত খেলে ক্ষতি হতে পারে।
প্রতিদিন সাধারণত ২–৪ গ্রাম পর্যন্ত আদা খাওয়া নিরাপদ ধরা হয় (চা বা রান্নায় ব্যবহৃত)।
রাতে আদা খেলে কি হয়
রাতে হালকা আদা চা বা খাবারের সঙ্গে সামান্য আদা খাওয়া বেশ উপকারী। তবে বেশি খাওয়া উচিত নয়।