অনেকেই প্রশ্ন করেন, ইসমে আজম দোয়া কয়টি এবং কীভাবে তা নিয়মিত পাঠ করা যায়। এই আর্টিকেলে আমরা ইসমে আজম দোয়ার সংখ্যা, এর উপকারিতা, এবং সঠিক নিয়ম ও প্রার্থনার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি।
ইসমে আজম দোয়া কয়টি ?
ইসমে আজম (اسمِ اعظم) বলতে বোঝানো হয় আল্লাহর সেই বিশেষ নাম বা নামসমূহ, যার দ্বারা দোয়া করলে আল্লাহ তা অবশ্যই কবুল করেন।
হাদীসসমূহে উল্লেখ আছে যে ইসমে আজম একাধিক দোয়ায় ব্যবহৃত হয়েছে।
বিদ্বানদের মধ্যে এ বিষয়ে মতভেদ আছে—কোন নামটি বা কোন দোয়াগুলো “ইসমে আজম” ধারণ করে। নিচে প্রধান কয়েকটি দোয়া উল্লেখ করা হলো, যেগুলোকে অধিকাংশ আলেম “ইসমে আজম”-এর অন্তর্ভুক্ত বলেছেন
১. দোয়া (সূরা আল-বাকারা 255 – আয়াতুল কুরসি সম্পর্কিত দোয়া)
اللّٰهُ لَآ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ
“আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই; তিনি চিরঞ্জীব, সকল কিছুর ধারক।”
➡️ অনেক হাদীসে বলা হয়েছে, “الحي القيوم” (আল-হাইয়ুল কাইয়্যুম) নামদ্বয় “ইসমে আজম”-এর অন্তর্ভুক্ত।
২. নবী ইউনুস (আঃ)-এর দোয়া
لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
(সূরা আম্বিয়া ২১:৮৭)
➡️ রাসূল ﷺ বলেছেন, “যে ব্যক্তি এই দোয়া পাঠ করবে, তার দোয়া আল্লাহ কবুল করবেন।” (তিরমিযি)
৩. রাসূল ﷺ-এর শেখানো দোয়া
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ، الْأَحَدُ الصَّمَدُ، الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
(তিরমিযি, ইবন মাজাহ)
➡️ নবী ﷺ বলেছেন, “তিনি আল্লাহকে তাঁর ইসমে আজম দ্বারা আহ্বান করেছেন।”
৪. আরেকটি হাদীসের দোয়া
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَسْمَائِكَ الْحُسْنَى، كُلِّهَا مَا عَلِمْتُ مِنْهَا وَمَا لَمْ أَعْلَمْ
➡️ এতে আল্লাহর সব সুন্দর নামের মাধ্যমে দোয়া করা হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে ইসমে আজম অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত।
সংক্ষেপে:
ইসমে আজমযুক্ত দোয়াগুলো ৩ বা ৪ রকমভাবে হাদীসে এসেছে —
তাই বলা যায়, “ইসমে আজম দোয়া কয়টি?” এর উত্তর: কমপক্ষে তিন থেকে চারটি দোয়া হাদীসে সরাসরি উল্লেখ আছে।