ইসলামের দৃষ্টিতে ছেলে সন্তান লাভের উপায় সম্পর্কে বলা যায় যে, সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে—এটি আল্লাহর ইচ্ছা ও কুদরতির উপর নির্ভরশীল। তবে কুরআন ও হাদীসে কিছু দোয়া, আমল ও নিয়ম আছে যা পালন করলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন এবং পবিত্র জীবনযাত্রার মাধ্যমে সুস্থ ও নেককার সন্তান লাভের আশা করা যায়।
ইসলামের দৃষ্টিতে কিছু করণীয় (নিয়ত ছেলে সন্তানের আশায় হলেও আল্লাহর ফয়সালাকে মেনে নেওয়া জরুরি):
১. সন্তান লাভের জন্য দোয়া করা:
কুরআনে হযরত জাকারিয়া (আ.) দোয়া করেছিলেন:
رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً ۖ إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ
“হে আমার রব, আপনি আমার জন্য আপনার পক্ষ থেকে এক পবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয় আপনি প্রার্থনা শুনেন।”
— (সূরা আলে ইমরান, ৩:৩৮)
এই দোয়াটি নেক সন্তান (ছেলে বা মেয়ে) পাওয়ার জন্য প্রতিদিন পড়া যেতে পারে।
২. তাওয়াক্কুল ও নিয়ত ঠিক রাখা:
-
শুধু ছেলে সন্তান চাওয়া উচিত নয়; বরং নেক, সুস্থ ও দ্বীনদার সন্তান চাওয়াই উত্তম।
-
ছেলে হোক বা মেয়ে, দুটোই আল্লাহর নেয়ামত। কুরআনে বলা হয়েছে:
“আল্লাহ যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দেন, যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দেন, যাকে ইচ্ছা পুত্র-কন্যা উভয়ই দেন এবং যাকে ইচ্ছা সন্তানহীন রাখেন।”
— (সূরা আশ-শূরা, ৪২:৪৯-৫০)
৩. হালাল রিযিক ও পবিত্র জীবনযাপন:
-
স্ত্রী-স্বামীর উভয়ের ইবাদত, চরিত্র, হালাল খাবার গ্রহণ — এগুলো সন্তানের গুণমান ও বরকতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
-
রাতে সহবাসের আগে “বিসমিল্লাহ” বলে সহবাস শুরু করার হাদীসি নির্দেশ রয়েছে:
“যদি তোমরা সহবাসের সময় ‘বিসমিল্লাহ’ পড়ে থাকো, তবে সেই সহবাস থেকে শয়তান বঞ্চিত থাকবে এবং সন্তান শয়তানের প্রভাব থেকে রক্ষা পাবে।”
— (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
বিশেষ দোয়া (ছেলে সন্তান কামনায়):
رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ
“হে আমার রব! আপনি আমাকে সৎ ও নেক সন্তান দান করুন।”
— (সূরা আস-সাফফাত, ৩৭:১০٠)
মনে রাখুন:
-
ছেলে সন্তান চাওয়া হারাম নয়, তবে মেয়ে সন্তানকে অবমূল্যায়ন করা মারাত্মক গুনাহ।
-
হাদীসে আছে:
“যে ব্যক্তি মেয়েদের লালন-পালন করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করবেন।” — (সহীহ মুসলিম)