কান বন্ধ হলে খোলার ঔষধ ও কানের ব্যাথার ড্রপের নাম

অনেকেই জানতে চান কানের ব্যাথার ড্রপের নাম বা ঘরোয়া চিকিৎসা কীভাবে ব্যবহার করা যায়। এই আর্টিকেলে আমরা কান বন্ধের সাধারণ কারণ, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহৃত কিছু কার্যকর ঔষধ এবং ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।  কান বন্ধ হলে খোলার ঔষধ সঠিকভাবে ব্যবহার করলে অস্বস্তি দূর হয়, শ্রবণ স্বাভাবিক হয় এবং সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে যায়।

কান বন্ধ হলে খোলার ঔষধ

কান বন্ধ হওয়া বা ব্যথা হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে — যেমন ময়লা (ear wax) জমে যাওয়া, সংক্রমণ (infection), ঠান্ডা বা অ্যালার্জির কারণে কান বন্ধ হওয়া, বা মধ্যকর্ণে তরল জমে থাকা ইত্যাদি।


তাই সঠিক চিকিৎসা নির্ভর করে কারণটা কী তার উপর। নিচে সাধারণভাবে ব্যবহৃত কিছু ওষুধ ও ড্রপের নাম দিলাম, তবে এগুলো ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার করা উচিত

১. কান বন্ধ হলে (ময়লার কারণে) ব্যবহৃত ড্রপ

যদি কানে ময়লা (ear wax) জমে থাকে:

  • Ear wax softener drops:

    • Otex (contains urea hydrogen peroxide)

    • Waxsol (contains docusate sodium)

    • Cerumol (contains arachis oil + chlorobutanol)

 ব্যবহারের নিয়ম: দিনে ১–২ বার ৩–৫ ফোঁটা করে ৩–৫ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
(ব্যবহারের আগে কান ফুটো আছে কি না নিশ্চিত হতে হবে — ফুটো থাকলে ব্যবহার করা যাবে না।)

২. কানের ব্যথা বা সংক্রমণের জন্য ড্রপ

যদি সংক্রমণ (otitis externa বা middle ear infection) থাকে:

  • Antibiotic/anti-inflammatory ear drops:

    • Ciplox ear drops (Ciprofloxacin)

    • Oframax ear drops (Ceftriaxone)

    • Otogesic ear drops (contains lidocaine + antibiotic + steroid)

    • Candibiotic ear drops (contains chloramphenicol, clotrimazole, beclomethasone, lidocaine)

ব্যবহারের নিয়ম: দিনে ২–৩ বার ২–৩ ফোঁটা করে, সাধারণত ৫–৭ দিন পর্যন্ত।
(ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ কান ফুটো থাকলে কিছু ড্রপ ক্ষতি করতে পারে।)

৩. সহায়ক ওষুধ

  • ব্যথা কমাতে: Paracetamol বা Ibuprofen

  • অ্যালার্জি বা ঠান্ডাজনিত বন্ধ কান হলে: Cetirizine বা Fexofenadine

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *