কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমা হতে পারে, যা জীবনকে বিপন্ন করতে পারে। তাই অনেক রোগী ও তাদের পরিবার জানতে চান কিডনির পয়েন্ট কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয় এবং কীভাবে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কিডনির ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
সোজা উত্তর — সাধারণত eGFR (Estimated GFR) যখন < 15 ml/min/1.73 m² আসে তখন কিডনি অত্যন্ত কম কাজ করছে এবং ডায়ালাইসিস (অথবা কিডনি প্রতিস্থাপন) বিবেচনা করা হয়; কিন্তু সিদ্ধান্তটা শুধু সংখ্যার উপরই না, রোগীর উপসর্গ ও জটিলতা দেখে ব্যক্তিগতভাবে নেওয়া হয়।
কিডনির পয়েন্ট কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়
-
স্টেজিং (GFR অনুযায়ী)
-
G1 ≥90 (স্বাভাবিক) … G4 = 15–29 (তীব্র ভাবে কম) … G5 <15 = কিডনি ফেইলিওর — G5 এ সাধারণত ডায়ালাইসিস বা ট্রান্সপ্লান্টের কথা আসে।
-
-
কখন ডায়ালাইসিস শুরু করা হয় (সংখ্যা নয় পুরো চিত্র)
-
যদি eGFR <15 থাকে, তখন ডায়ালাইসিস বিবেচনা করা হয়; কিন্তু অনেকক্ষণ আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না—ডায়ালাইসিস শুরু করার বাস্তব নির্দেশনা হল যখন রোগীকে ইউরেমিয়ার উপসর্গ (বমি/জ্বর/ভূক্তোলতা কমে যাওয়া/অতি ক্লান্তি), তীব্র তরল জমা (শ্বাসকষ্ট/ফোলা), নিয়ন্ত্রিত না হওয়া উচ্চ পটাশিয়াম (hyperkalaemia), গুরুতর অ্যাসিডিসিটি, পেরিকার্ডাইটিস বা মস্তিষ্কজনিত সমস্যা দেখা দেয়। এই সব থাকলে সংখ্যার কাছে থাক বা না থাক—ডায়ালাইসিস জরুরি হতে পারে।
-
-
ডায়ালাইসিসের জন্য প্রস্তুতি (access তৈরি)
-
যদি eGFR প্রায় 15–20 হওয়া বা ক্রমশ কমছে, অনেক গাইডলাইন বলছে (বিশেষত ট্রান্সপ্লান্ট/হেমোডায়ালাইসিস ভেনাস অ্যাকসেসের জন্য) আগে থেকেই নেভাসকুলার এক্সেস বা পরিকল্পনা করা উচিত—কারণ অ্যাকসেস তৈরিতে সময় লাগে।
-
-
সব রোগীর ইন্ডিকেশন একই না
-
সিদ্ধান্তটি রোগীর বয়স, অন্যান্য রোগ (ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ), ডায়ালাইসিসের লক্ষ্যমাত্রা (গুণগত জীবন বাড়ানো, জীবনের ঝুঁকি কমানো), রোগীর অনুভূত উপসর্গ ইত্যাদি বিবেচনায় করে নেফ্রোলজিস্ট নেয়। তাই কোনও নির্দিষ্ট ‘একটা পয়েন্ট’ সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
-
কেন এই সংখ্যাগুলো দরকার: eGFR হলো রক্তে ক্রিয়েটিনিন ও বয়স/লিঙ্গ ইত্যাদি ব্যবহার করে ক্যালকুলেট করা কিডনির ফিল্টারিং ক্ষমতা — এটা কেবল একটি নির্দেশক; রোগীর অবস্থা (উপসর্গ/রক্তের বৈশিষ্ট্য) বেশি গুরুত্বপূর্ন।