কোষ বিভাজন কাকে বলে
যে প্রক্রিয়ায় কোষ তার প্রতিরূপ সৃষ্টি করতে পারে তাকে কোষবিভাজন বলা হয় । কোষ বিভাজন মূলত একটি সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া হলেও একই সময়ে একই সাথে বেশ কয়েকটি কোষবিভাজিত হয় বলে প্রাণীদেহ দ্রুত বৃদ্ধি পায় ।
কোষ বিভাজন (Cell Division) হলো একটি জীব কোষের বিভাজনের প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে একটি কোষ বিভক্ত হয়ে দুটি বা ততোধিক নতুন কোষ সৃষ্টি করে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবদেহে বৃদ্ধি, পুনরুৎপাদন এবং ক্ষত সারানোর কাজ সম্পন্ন হয়।
কোষবিভাজন মূলত দুই প্রকার। মিয়োসিস কোষ বিভাজন এবং মাইটোসিস কোষ বিভাজন।
মিয়োসিস কোষ বিভাজন কাকে বলে
যৌনজনন অথবা জন:ক্রম দেখা যায় এমন কোষের কোষ বিভাজনকে মিয়োসিস কোষবিভাজন বলা হয়। প্রাণী এবং উদ্ভিদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মিয়োসিস কোষবিভাজনের গুরুত্ব অপরিসীম । মূলত এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি নতুন প্রাণীদের সৃষ্টি হতে পারে ।
মূলত এখানে মাতৃ কোষ বিভাজিত হয়ে দুইটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে। এবং এই অপত্য কোষগুলো ক্রোমোজোম সংখ্যা মূলত মাতৃকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার অর্ধেক হয়ে থাকে । তবে পরবর্তীতে যখন এই দুইটি অপত্য কোষ একত্রিত হয়ে একটি জাইগট তৈরি করে, যেখানে ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যা সমান হয়ে থাকে ।
ব্যাপন কাকে বলে | ব্যাপন ও অভিস্রবণ এর মধ্যে পার্থক্য
মাইটোসিস কোষ বিভাজন কাকে বলে
মাইটোসিসকোষ বিভাজন: যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া জীবের দেহ কোষে হয়ে থাকে তাকে মাইটোসিসকোষ বিভাজন বলা হয় । এবং যেমন তাকে আমরা সবাই জানি যে মাইটোসিস কোষ বিভাজনে উৎপন্ন কোষে নিউক্লিয়াসে ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃ কোষের অনুরূপ হয়ে থাকে ।
যে সকল কোষ সরাসরি জনন কার্যে অংশগ্রহণ করে থাকে সেই সকল কোষগুলোকে বলা হয় জননকোষ । জননকোষ কে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে । যার মধ্যে একটি পুং জনন কোষ এবং অপরটি স্ত্রী জনন কোষ ।
পৌঁছানোর কোষ এবং স্ত্রীর জনন কোষের মিলনের মূলত জাইগট সৃষ্টি হয়। এবং এ জায়গাটি ধীরে ধীরে বিভাজিত হয়ে হয়ে একটি নতুন প্রাণের আবির্ভাব ঘটে ।