ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য: ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বলতে বোঝায় একটি দেশের মূলধারার জনগোষ্ঠীর বাইরে বসবাসকারী অপেক্ষাকৃত ছোট সংখ্যক, নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা, ধর্ম, সামাজিক রীতি-নীতি ও জীবনাচার ধারণকারী জনগোষ্ঠীকে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের নৃগোষ্ঠী পাওয়া যায়।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য সমূহঃ
-
সংখ্যাগত দিক থেকে ক্ষুদ্র
– এরা সংখ্যায় মূলধারার জনগোষ্ঠীর তুলনায় অনেক কম। -
ভিন্ন ভাষা ও উপভাষা
– নিজেদের স্বতন্ত্র ভাষা বা উপভাষা ব্যবহার করে। -
স্বতন্ত্র সংস্কৃতি
– পোশাক, গান, নাচ, উৎসব, খাদ্যাভ্যাস, আচার-অনুষ্ঠানে তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। -
ভৌগোলিক নির্দিষ্টতা
– সাধারণত পার্বত্য অঞ্চল, বনাঞ্চল বা প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাস করে। -
পেশাগত বৈশিষ্ট্য
– অধিকাংশই জুমচাষ, শিকার, মৎস্য শিকার, বাঁশ-বেতের কাজ, তাঁত শিল্প, মৃৎশিল্প ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত থাকে। -
ধর্মীয় বৈচিত্র্য
– হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও প্রাণবাদ (Animism) সহ বিভিন্ন ধর্ম অনুসরণ করে। -
গোষ্ঠী ভিত্তিক জীবনযাপন
– এদের সমাজ কাঠামো মূলত গোষ্ঠী বা গোত্রকেন্দ্রিক। গোষ্ঠীপতি বা বয়োজ্যেষ্ঠদের সিদ্ধান্ত সমাজে গুরুত্বপূর্ণ। -
স্বতন্ত্র সামাজিক রীতি-নীতি
– বিবাহ, মৃত্যু, জন্ম ও উৎসব নিয়ে তাদের বিশেষ রীতিনীতি রয়েছে। -
প্রকৃতিনির্ভর জীবনধারা
– জীবিকা ও সংস্কৃতির বড় অংশ প্রকৃতি ও পরিবেশকেন্দ্রিক। -
অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর
– আধুনিক শিক্ষার সুযোগ ও উন্নয়ন কার্যক্রমের সীমিত প্রভাব থাকায় অনেকেই অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে আছে।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কাকে বলে?
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বলতে বোঝায়—
একটি রাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর বাইরে বসবাসকারী অপেক্ষাকৃত ছোট সংখ্যার মানুষদের, যাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, রীতি-নীতি, ধর্ম, পোশাক, জীবনযাপন ও ঐতিহ্য রয়েছে এবং যারা সাধারণত নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ভিত্তিকভাবে বসবাস করে।
সহজভাবে:
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হলো এমন জনগোষ্ঠী যারা সংখ্যায় কম হলেও সাংস্কৃতিক ও সামাজিক দিক থেকে স্বতন্ত্র পরিচয় বহন করে।