গর্ভবতী মায়ের নিষিদ্ধ খাবার তালিকা : একজন গর্ভবতী মায়ের সকল ধরনের খাবার বাছ বিচার করে গ্রহণ করা প্রয়োজন। গর্ভকালীন সময় গর্ভবতী মায়ের জন্য কিছু খাবার নিষিদ্ধ। যতটা সম্ভব এ ধরনের খাবার খাওয়া পরিহার করে চলতে হবে।
গর্ভবতী মায়ের নিষিদ্ধ খাবার তালিকা
আঙ্গুর
আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে রেস্টভারাট্রল থাকে যা একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে টক্সিসিটি তৈরি করতে পারে। সুতরাং গর্ভকালীন সময়ে অবশ্যই আঙ্গুর পরিহার করে চলাটা আবশ্যক।
আনারস
আনারস অত্যন্ত পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফল হলেও আনারসের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
ব্রলামিন। জেটি সময়ের আগেই গর্ভপাত হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ। সুতরাং গর্ভকালীন সময় অবশ্যই আনারস পরিহার করে চলতে হবে।
এছাড়াও আনারস শরীরে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে এবং পক্ষান্তরে প্রজেস্টেরনের পরিমাণ কমে যায়।
কাজেই গর্ভধারণকালে অবশ্যই আনারস পরিহার করে চলতে হবে।
সজিনা ডাটা
সজিনা ডাটায় রয়েছে প্রচুর আলফা সিটেস্টেরল। যা সময়ের আগেই গর্ভবতী মায়ের গর্ভপাতের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে । যদিও সজিনা ডাটায় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন , ভিটামিন এ ভিটামিন বি ভিটামিন সি আইরন ও খনিজ লবণ রয়েছে । তারপরেও গর্ভবতী মায়ের সর্বোচ্চ সুরক্ষার লক্ষ্যে অবশ্যই সজিনা ডাটা পরিহার করে চলতে হবে ।
মধু
খাঁটি মধুতে কিছুটা হলেও ময়লা-বালি থাকতে পারে। যাতে করে মায়ের দেহে ক্লস্ট্রডিয়াম স্পোর বাসা বাধতে পারে। এটি মায়ের শরীরের জন্য ক্ষতিকর কিছুই না৷ তবে মায়ের পেটে থাকা ভ্রুনের অপূরণীয় ক্ষতি করে ফেলতে পারে। কাজেই গর্ভকালীন সময় মধু পরিহার করে চলা উচিত।
কাচা ডিম
কাচা ডিমে H.phylori নামের এক ধরণের ব্যাক্টেরিয়া থাকে।যেটি গর্ভবতী মায়ের শরীরে ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাধার অন্যতম কারণ৷ কাচা ডিম থেকে টাইফয়েডের মতো সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। কাজেই গর্ভকালীন সময়ে কাচা ডিম সম্পূর্ণ পরিহার করতে হবে। অনেকে স্যুপের সাথে কাচা ডিম খেতে পছন্দ করেন৷ তবে গর্ভধারণকালীন সময় এটি উপেক্ষা করে চলাই ভালো৷ আরো ভালো হয় – যদি হাল্ফ বয়েল ডিম উপেক্ষা করা যায়৷
কাঁচা দুধ
দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার । গর্ভবতী মা এবং তার সন্তান উভয়ের জন্য দুধ খুবই উপদেয় । সে কারণে ডাক্তাররা প্রতিদিন গর্ভবতী মাকে দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ।
সে কারণে ডাক্তাররা সর্বদা গর্ভকালীন সময় অ্যালোভেরা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
কিন্তু কোন অবস্থাতেই কাঁচা অথবা অপ্রাস্তুরকৃত দুধ খাওয়া যাবে না । কেননা কাঁচা দুধে লিস্টেরিয়া, ই-কোলায়, স্যালমোনেলা বা ক্যামফাইলো ব্যাক্টেরিয়া উপাদান রয়েছে যা মায়ের শরীরে ক্রমবর্ধমান ভ্রুনের জন্য ক্ষতিকর ।
অ্যালোভেরা
গর্ভকালীন সময় গর্ভবতী মায়ের চেহারায় বিবর্ণতা দেখা যায়। এ কারণে অনেক গর্ভবতী নারী রূপচর্চার জন্য অ্যালোভেরা ব্যবহার করে থাকেন। এমনকি অনেকে অ্যালোভেরা খেয়েও থাকেন।
তবে জেনে রাখা দরকার, গর্ভবতী মায়ের জন্য যে কয়টি নিষিদ্ধ খাবার রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো অ্যালোভেরা। যদিও অ্যালোভেরা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হয়েছে তবে এলোভেরা পেলভিক হেমোরেজ এর জন্য দায়ী । যার ফলে গর্ভবতী মায়ের অসময়ে গর্ভপাত হতে পারে ।
এছাড়াও চাইলে এই আর্টিকেল থেকে গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি চাহিদা মোতাবেক কোন কোন খাদ্য সরবরাহ করা প্রয়োজন তা জেনে আসতে পারবেন !
এখানে ক্লিক করে দেখে নিন !
গর্ভকালীন সময়ে অবশ্যই পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যকে মায়ের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া মাত্রই গর্ভবতী মায়ের যাবতীয় ভারি কাজ করা থেকে বিরত থাক উচিত।
একজন গর্ভবতী মা আগামীর ভবিষৎ জন্ম দিতে চলেছে । কাজেই গর্ভবতী নারীর উপর যদি কোন ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই সামাজিক দায়বদ্ধতার দিক থেকে আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে ধর্মীয় নেতাকর্মী ও সমাজপতিদের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ থাকাটা খুবই জরুরী ।
প্রয়োজন বোধে দোষী সাব্যস্তদের আইনের হাতে সোপর্দ করতে পিছপা হওয়া যাবে না।
ভুলে গেলে চলবে না,এটি আমাদের সকলের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব ।