ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ কি কি

ছেলে সন্তান গর্ভে থাকলে কিছু লোকবিশ্বাস বা প্রাচীন ধারণা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু লক্ষণ দেখা যেতে পারে। তবে মেডিকেল সায়েন্সে এ ধরনের লক্ষণ দ্বারা সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা নির্ভরযোগ্যভাবে বলা সম্ভব নয়। তবুও নিচে কিছু প্রচলিত লক্ষণ দেওয়া হলো যেগুলোকে মানুষ ছেলে সন্তানের ইঙ্গিত বলে মনে করে:

ছেলে সন্তান হওয়ার প্রচলিত লক্ষণসমূহ (লোকবিশ্বাস অনুযায়ী):

  1. পেটের আকার ও অবস্থান: অনেকের মতে পেট যদি নিচের দিকে ঝুঁকে থাকে বা পেটের আকার যদি তরমুজের মতো হয় তবে ছেলে সন্তান হতে পারে।

  2. মর্নিং সিকনেস কম হওয়া: গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে বমি বা বমিভাব কম হলে অনেকে মনে করেন ছেলে হবে।

  3. খাবারের প্রতি আগ্রহ: যদি বেশি প্রোটিন বা নোনতা, ঝাল খাবার খেতে ইচ্ছা করে তাহলে অনেকে মনে করেন ছেলে সন্তান হবে।

  4. চামড়ার উজ্জ্বলতা ও চুলের অবস্থা: গর্ভবতীর ত্বক যদি উজ্জ্বল থাকে ও চুল যদি ঘন ও চকচকে থাকে, তা নাকি ছেলে সন্তানের ইঙ্গিত দেয়।

  5. হৃদস্পন্দন: শিশুর হার্টবিট যদি ১৪০ বিট পার মিনিটের নিচে হয়, অনেকের মতে তা ছেলে সন্তানের ইঙ্গিত।

  6. হাত-পা ঠাণ্ডা থাকা: গর্ভাবস্থায় হাত-পা ঠাণ্ডা থাকলে অনেকে মনে করেন ছেলে হবে।

  7. স্ট্রেস বা মানসিক চাপের মাত্রা কম থাকা: কিছু মত অনুযায়ী, কম মানসিক চাপ থাকা ছেলে সন্তানের সম্ভাবনা বাড়ায়।

বৈজ্ঞানিকভাবে নির্ভরযোগ্য কী?

না, উপরোক্ত লক্ষণগুলো বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। ছেলে বা মেয়ে সন্তান হবে তা নির্ধারিত হয় বাবার স্পার্মে থাকা X বা Y ক্রোমোজোমের মাধ্যমে।

নির্ভরযোগ্য উপায় কীভাবে জানা যায়?

  • আল্ট্রাসনোগ্রাফি (ultrasound) – গর্ভাবস্থার নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত ১৮-২২ সপ্তাহে) শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ সম্ভব।

  • NIPT (Non-Invasive Prenatal Testing) – ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায় (অনেক দেশে এটি অনুমোদিত)।

অনেক দেশে (যেমন: বাংলাদেশ, ভারত) গর্ভে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ আইনত নিষিদ্ধ, তাই স্থানীয় আইন ও নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *