ত্রিভুজ কাকে বলে? ত্রিভুজ কত প্রকার ও কী কী

ত্রিভুজ কাকে বলে

ত্রিভুজ হল একটি জ্যামিতিক আকৃতি যা তিনটি বাহু এবং তিনটি কোণ বিশিষ্ট হয়। এটি দুই চাপে বিভক্ত হতে পারে – সমবাহু ত্রিভুজ (তিনটি বাহু সমান) এবং বিষমবাহু ত্রিভুজ (তিনটি বাহু সমান নয়)। ত্রিভুজ হল জ্যামিতিক আকৃতির মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ একটি যা গণিতে একটি দুই চাপে বিভক্ত হয়।


ত্রিভুজ গঠিত হওয়ার পর রেখাংশ তিনটির প্রত্যেকটিকে ত্রিভুজের বাহু বলে। আর এই ত্রিভুজ দ্বারা আবদ্ধ ক্ষেত্রকে ত্রিভুজক্ষেত্র বলে।


ইউক্লিডিও জ্যামিতি অনুযায়ী, একই সরলরেখায় অবস্থিত নয় এমন তিনটি বিন্দু দ্বারা একটি ও কেবল একটি ত্রিভুজ অঙ্কন করা যায়। অন্যভাবে বললে, যে বহুভুজের কেবল তিনটি বাহু ও তিনটি শীর্ষবিন্দু থাকে তাকে ত্রিভুজ বলে। ত্রিভুজের শীর্ষবিন্দু বলতে বোঝায়, এর যেকোনো দুইটি বাহু পরস্পর যে বিন্দুতে মিলিত হয়।


আবার বাহুর সংখ্যা বিবেচনায়, ত্রিভুজই সর্বনিম্ন বহুভুজ অর্থাৎ, এমন কোনো বহুভুজ নেই যার বাহুর সংখ্যা তিন এর কম। ত্রিভুজের তিন কোণের সমষ্টি দুই সমকোণ বা ১৮০°।

আরো পড়ুন ;- বিন্দু কাকে বলে? বিন্দুর প্রকারভেদ ও বৈশিষ্ট্য

ত্রিভুজের প্রকারভেদঃ

কোণভেদে ত্রিভুজ তিন প্রকার যথা:-
সমকোণী ত্রিভুজ
সূক্ষ্মকোণী “
স্থূলকোণী “
বাহুভেদে তিন প্রকার যথা:-
সমবাহু “
সমদ্বিবাহু “
বিষমবাহু “

ত্রিভুজের ক্ষেত্রফলঃ

ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল
ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল = ১/২* ভূমি * উচ্চতা

ত্রিভুজের পরিসীমাঃ

ত্রিভুজের পরিসীমা
ত্রিভুজের পরিসীমা = ত্রিভুজের তিন বাহুর যোগফল
সুতরাং এক বাহুর দৈর্ঘ্য a হলে, পরিসীমা হবে 3a

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *