পাদ কয় প্রকার ও কি কি? পাদের কবিতা ও রম্য রচনা

আপনি জানেন কি! পাদ কয় প্রকার ও কি কি? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ অব্দি আপনাকে পড়তেই হবে। আজকে আমরা পাদ বা বায়ু ত্যাগ নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিশ্লেষণ করতে চলেছি, যা আপনার অবশ্যই জানা প্রয়োজন। শুরুতেই বলে রাখি, আমরা এই আর্টিকেলে সিরিয়াস বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। 

বস্তুত মানুষ এগুলো নিয়ে প্রশ্ন করে না বিধায় তারা উত্তর পায় না। তবে ব্বায়ু ত্যাগ বা পাদ নিয়ে লজ্জার কিছু নেই। এটি আমাদের সবার জীবনের একটি অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা। 

আপনি যদি জীবনে নাই পেদে থাকেন তাহলে আপনি মানুষের কাতারেই পড়েন না। আর যদি পেদে থাকেন অবশ্যই আপনার জানা উচিৎ যে পাদ কত প্রকার ও কি কি? কেননা পাদ কয় প্রকার ও কি কি এটি জানকে পাদ দেওয়ার সময় শরীরে এক্সটা একটি ভাবসাব আসবো। তো চলুন জেনে নেই পাদের প্রকারভেদ!

পাদ কয় প্রকার ও কি কি?

পাদ মূলত চার  প্রকার। পাদের ধরণ ও বায়ুত্যাগের সময়কালের উপর নির্ভর করে পাদের শ্রেণী বিভাগ করা হয়েছে। সুতরাং যারা প্রশ্ন করে থাকেন পাদ কয় প্রকার তারা আশা করি সঠিক উঃ পেয়েছেন।

  1. ঠাস পাদ,
  2. ফুস পাদ,
  3. কুইয়া পাদ
  4. ঝোল পাদ

ঠাস পাদঃ যে পাদ মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করে, সেটাই হচ্ছে ঠাস পাদ । এসব পাদগুলো সাধারণত হরেক রকমে মন মাতানো সুরের সাথে নিজেদের আগমন ঘটায় ।

শব্দ দূষণের অভিযোগ পাওয়া গেলেও এই পাদ বেশিরভাগ সময়ই মানুষকে বিনোদিত করে ।

ফুস পাদঃ যে পাদ নিজেকে মুক্ত করার জন্য পায়ু পথের কাছাকাছি এসে আকুপাকু করে শব্দ ছারা বের হয় তাকে ফুস পাদ বলে ।

এসব পাদের কোনো অস্তিত্ব নেই, ঘ্রাণ শুকে এদের অস্তিত্ব অনুভব করা যায়, এধরনের পাদগুলো সাধারণত পরিবেশ দুষণ করে থাকে ।

কুইয়া পাদঃ এটার অপর নাম চুরাপাদ । এটা লম্বা সময় ধরে পায়খানা আটকে রাখার পরের পাদ । হিরোশিমার বোমার চাইতে ভয়ংকর এই পাদ ।

মানুষের ভীড়ে এটা দিয়ে ধরা খেলে খুনের মামলার আসামী হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী ।

ঝোল পাদঃ ডায়রিয়ার সময় এই পাদ হয়, চলাফিরার মূহুর্তে দেয়া একটু ঝুকিপূর্ণ, যেকোনো সময়ে হলুদ ঝোলে প্যান্ট মাখামাখি হয়ে যেতে পারে ।

এর শব্দ সাধারণত ‘ফেড়ফেড়’ বা ‘ভ্যাড়ভ্যাড়’ হয়ে থাকে ।

আরো পড়ুন ;- পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রধানমন্ত্রী কে? জেনে নিন তার নাম !

পাদ নিয়ে রম্য রচনা

তাল লয় ও স্থানকালভেদে পাদ একটি বিনোদনও হতে পারে। পাদ নিয়ে বের হতে পারে ওয়েব সিরিজ কিংবা খেলার সময় খেলা লাইভ টিভি গুলোতেও আপনার পাদ সম্প্রচারিত করা হতে পারে। যাই হোক এখন পাদ নিয়ে একটি রম্য রচনা আলোচনা করবো।

যাদের পাদে গন্ধ থেকে থাকে তাদের পাদকে বলা হয়ে থাকে গন্ধযুক্ত পাদ। পাদ সবই গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে। তবে গন্ধহীন পাদও রয়েছে। আমাদের দেশে খুবই কম মানুষ গন্ধহীন পাদ পেদে থাকেন । মূলত যারা সোশাইটিতে হাই লেভেলের নাগরিক তারাই গন্ধহীন পাদ পেদে থাকে। কেননা তারা অনেক সুগন্ধী যুক্ত খাবার খান। তাদের বাড়িতে সুগন্ধী চাল, কেওড়া জল দিয়ে রান্না করা গোরুর কালিয়ে ছাড়া কোনো কথাই চলে না। 

কিন্তু যারা গরিব, তারা মূলত গন্ধ যুক্ত পাদ পেদে থাকেন। গন্ধযুক্ত পাদে কিছুটা সালফার গ্যাসের মতো গন্ধ থেকে থাকে। 

গরিব হওয়ার কারণে আমরা খুবই স্বস্তা খাবার খাই। যেমন ভাত – আপনি যতো ভাত খাবেন আপনার পাদের গন্ধ আরো কতো বেড়ে যাবে। 

আসছে শীত, শীতে আমাদের মতো অসহায় গরিবেরা প্রচুর পরিমানে মুলো কেনে। কেননা মুলো তারা বাজারে অনেক সস্তা দামে পেয়ে যায়। মূলত এই মুলো খেলে বায়ু ত্যাগের পরিমান অনেকটাই বেড়ে যায়।কাজেই পাদের গন্ধ থেকে যদি পরিত্রান পেতে চান তাহলে আজই মুলো খাওয়া ছেড়ে দিন। 

অনেকে জানতে চান গন্ধহীন পাদ কয় প্রকার। কিন্তু সত্যি বলতে গন্ধহীন পাদের কোনো শ্রেণী বিভাগ নেই। গন্ধহীন পাদকে অনেকে সুগন্ধী পাদ বলে থাকেন। সুগন্ধী পাদ সম্পর্কে যতোই বলবো ততোই কম হবে। 

আমাদের সমাজে যারা ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার, এবং বিসিএস ক্যাডার রয়েছেন তারা এই ধরণের পাদ পেদে থাকন। তবে এই ধরণের পাদ পাদার সমান ক্ষমতা অর্জন করতে হলে অবশ্যই আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে । কেননা যারা ক্ষ্যাত, তারা এই ধরণের পাদ দিতে পারে না। একমাত্র স্মার্ট লোকেরাই এই পাদ দিতে পারে। 

এবং যেমনটা কি আমরা সবাই জানি যে বিসিএস ক্যাডার মানেই স্মার্টনেস, আর স্মার্টনেস মানেই সুগন্ধযুক্ত ভুবন মাতানো পাদ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *