বুকের দুধ শুকিয়ে যায় কেন ? সাধারণত বুকের দুধ কমে যাওয়া বা “শুকিয়ে যাওয়া” (দুধ উৎপাদন বন্ধ হওয়া) বিভিন্ন কারণে হতে পারে—যেমন মায়ের শরীরের পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পাওয়া, কম পানি পান করা, বাচ্চাকে কম স্তন্যদান করানো, মানসিক চাপ, কিংবা হরমোনজনিত পরিবর্তন।
পোস্টের বিষয়বস্তু
বুকের দুধ শুকিয়ে যায় কেন
-
শিশুর কম ঘন ঘন স্তন্যপান করা
-
দুধ উৎপাদন মূলত “চাহিদা অনুযায়ী জোগান” পদ্ধতিতে হয়। শিশু যত বেশি দুধ খাবে, তত বেশি দুধ তৈরি হবে।
-
যদি শিশুকে কম খাওয়ানো হয় বা বোতল/ফর্মুলা বেশি দেওয়া হয়, তবে দুধ কমে যেতে পারে।
-
-
ভুলভাবে ল্যাচ করা (চোষার ভঙ্গি সঠিক না হওয়া)
-
শিশু যদি সঠিকভাবে স্তন ধরতে না পারে, তবে স্তন পুরোপুরি খালি হয় না। এতে দুধ কমতে থাকে।
-
-
স্ট্রেস ও মানসিক চাপ
-
মানসিক উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, ক্লান্তি অক্সিটোসিন হরমোনের নিঃসরণে বাধা দেয়, যা দুধ নামার প্রক্রিয়াকে কমিয়ে দেয়।
-
-
মায়ের স্বাস্থ্য সমস্যা
-
হরমোনজনিত সমস্যা (যেমন থাইরয়েডের অসুবিধা, PCOS), ডায়াবেটিস বা অন্য শারীরিক অসুস্থতা।
-
ডেলিভারির পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা প্লাসেন্টার টুকরো থেকে গেলে দুধ আসতে দেরি হতে পারে।
-
-
ওষুধের প্রভাব
-
কিছু ওষুধ (যেমন হরমোনাল জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, অ্যান্টিহিস্টামিন ইত্যাদি) দুধের উৎপাদন কমাতে পারে।
-
-
ধূমপান, মদ্যপান বা পর্যাপ্ত খাবার/পানি না খাওয়া
-
পুষ্টিহীনতা বা শরীরে পানির অভাব থাকলেও দুধ কমে যায়।
-
কি খেলে বুকের দুধ শুকিয়ে যায়
তবে কিছু খাবার ও ভেষজ উপাদান আছে যেগুলো দুধের প্রবাহ কমিয়ে দিতে পারে বলে ধারণা করা হয়ঃ
যেসব খাবার/উপাদান দুধ কমাতে পারে:
-
পুদিনা (mint, peppermint, spearmint) – বেশি খেলে দুধ কমে যেতে পারে।
-
পার্সলে (parsley) – অতিরিক্ত খাওয়া দুধ কমিয়ে দিতে পারে।
-
সেজ (sage) – প্রাচীনকাল থেকেই দুধ শুকানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
ওরেগানো ও থাইম (oregano, thyme) – বেশি খেলে দুধ কমতে পারে।
-
অ্যালকোহল – দুধের পরিমাণ ও মান দুইই কমিয়ে দেয়।
-
ক্যাফেইন (চা, কফি, কোলা বেশি পরিমাণে) – শরীর ডিহাইড্রেট করে, দুধ কমে যেতে পারে।