ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে ৫টি পার্থক্য নিচে দেওয়া হলোঃ ভাইরাস হলো অতি ক্ষুদ্র জীবাণু, যাদের কোষীয় গঠন নেই এবং তারা জীবিত কোষের ভেতর প্রবেশ না করলে বেঁচে থাকতে বা বংশবিস্তার করতে পারে না। অন্যদিকে ব্যাকটেরিয়া হলো এককোষী জীব, যাদের কোষপ্রাচীর, সাইটোপ্লাজম ও রাইবোজোম থাকে এবং তারা নিজে নিজেই বেঁচে থাকতে ও বিভাজনের মাধ্যমে বৃদ্ধি পেতে পারে।
১. গঠন (Structure):
-
ভাইরাস: খুবই সরল, শুধুমাত্র জেনেটিক উপাদান (DNA বা RNA) ও প্রোটিন আবরণ (capsid) দ্বারা গঠিত।
-
ব্যাকটেরিয়া: জটিল, এদের কোষপ্রাচীর, সাইটোপ্লাজম, রাইবোজোম, DNA, কোষঝিল্লি ইত্যাদি থাকে।
২. জীবন্ত অবস্থা (Living status):
-
ভাইরাস: নিজে থেকে বেঁচে থাকতে বা বংশবৃদ্ধি করতে পারে না; জীবন্ত কোষে প্রবেশ করে তবেই সক্রিয় হয়।
-
ব্যাকটেরিয়া: স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে ও বংশবৃদ্ধি করতে পারে।
৩. আকার (Size):
-
ভাইরাস: খুব ছোট, সাধারণত ২০–৩০০ ন্যানোমিটার।
-
ব্যাকটেরিয়া: তুলনামূলক বড়, সাধারণত ০.৫–৫ মাইক্রোমিটার।
৪. বংশবিস্তার (Reproduction):
-
ভাইরাস: হোস্ট কোষের ভেতর প্রবেশ করে তার উপাদান ব্যবহার করে প্রতিলিপি তৈরি করে।
-
ব্যাকটেরিয়া: বাইনারি ফিশন (Binary fission) প্রক্রিয়ায় স্বাধীনভাবে বিভাজিত হয়ে বৃদ্ধি পায়।
৫. চিকিৎসা (Treatment):
-
ভাইরাস: অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না, সাধারণত ভ্যাকসিন ও অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহৃত হয়।
-
ব্যাকটেরিয়া: অ্যান্টিবায়োটিক দ্বারা ধ্বংস বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।