নারীদের স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হলো নিয়মিত মাসিক হওয়া। কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন কারণে মাসিক দেরি হতে পারে বা একেবারেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তখন অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে—মাসিক না হলে কি করা উচিত? মাসিক অনিয়মের পেছনে শারীরিক ও মানসিক উভয় কারণই থাকতে পারে, যেমন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ওজনের হঠাৎ পরিবর্তন, জীবনযাত্রার অনিয়ম কিংবা কোনো অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্যসমস্যা। বিশেষ করে কিশোরী ও প্রজনন বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
মাসিক না হলে কি করা উচিত
প্রথমে ভাবুন
-
গর্ভধারণের সম্ভাবনা আছে কি?
থাকলে ১–২ সপ্তাহ দেরি হলে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করুন। -
মানসিক চাপ, ওজন হঠাৎ কমা/বাড়া, অসুস্থতা, অতিরিক্ত ব্যায়াম—এসব কারণে মাসিক দেরি হতে পারে।
-
হরমোনের সমস্যা (PCOS, থাইরয়েড) থাকলেও অনিয়ম হয়।
এখন কী করবেন
-
৭–১০ দিন অপেক্ষা করুন (অনেক সময় নিজে থেকেই শুরু হয়)
-
পর্যাপ্ত ঘুম, পুষ্টিকর খাবার, পানি পান করুন
-
অতিরিক্ত স্ট্রেস ও ভারী ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন
-
নিজে থেকে কোনো হরমোন বা ওষুধ খাবেন না
কখন অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাবেন
-
২ মাস বা তার বেশি সময় মাসিক না হলে
-
তলপেটে তীব্র ব্যথা, অস্বাভাবিক রক্তপাত হলে
-
বারবার মাসিক অনিয়ম হলে
-
প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজিটিভ হলে
-
অবিবাহিত হলেও হঠাৎ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে
অনেক সময় মাসিক দেরি হওয়া সাময়িক ও স্বাভাবিক হলেও, বারবার এমন হলে তা অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ দীর্ঘদিন মাসিক না হলে তা ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই মাসিক না হলে কি করা উচিত—এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানা প্রতিটি নারীর জন্য জরুরি। সঠিক সময়ে সচেতন হওয়া, নিজের শরীরের পরিবর্তন লক্ষ্য করা এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া সুস্থ থাকার জন্য অপরিহার্য।