আমাদের সবার জন্য রম্বস কাকে বলে বিষয়টি জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সকলে নানা বিধ বিষয় সম্পর্কে জেনে থাকি কিন্তু আমাদের জানার কোনো শেষ নেই। biddabd.com ওয়েবসাইটে আপনি বিভিন্ন প্রশ্নের উক্তর খুঁজে পাবেন, যা জেনে অনেক উপকৃত হতে পারেন। আপনাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে বিস্তারিত তথ্য এখানে তুলে ধরেছি। আশা করছি এটি আপনাকে খুব ভালোভাবে সাহায্য করবে।
পোস্টের বিষয়বস্তু
রম্বস
যে চতুর্ভুজের চারটি বাহুই পরস্পর সমান ও সমান্তরাল কিন্তু কোণ গুলো সমকোণ নয় তাকে রম্বস বলে।
রম্বস কাকে বলে? যে চতুর্ভুজের চারটি বাহুর দৈর্ঘ্য পরস্পর সমান তাকে রম্বস বলে। অন্যভাবে বললে, যে চতুর্ভুজের সব বাহুর দৈর্ঘ্য সমান কিন্তু কোণগুলো সমকোণ নয় তাকে রম্বস বলে।
আরও কয়েকভাবে রম্বস এর সংজ্ঞা দেওয়া যায়। যেমন – সামান্তরিকের সন্নিহিত বাহুদ্বয় পরস্পর সমান হলে তাকে রম্বস বলে। রম্বস হলো বিশেষ ধরণের একটি চতুর্ভুজ যার বাহুগুলোর দৈর্ঘ্য পরস্পর সমান।
রম্বস কাকে বলে এ সম্পর্কে বিস্তারিত: এ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে হলে রম্বস কাকে বলে চিত্র সহ ভালভাবে জানতে হবে। প্রকৃতপক্ষে, রম্বস হলো সামান্তরিকের একটি বিশেষ রূপ অর্থাৎ, সামান্তরিকের সন্নিহিত বাহুদ্বয় সমান হলে তখন তা রম্বস হয়ে যায়।
রম্বসের সবগুলো বাহু যেমন পরস্পর সমান; তেমনিভাবে রম্বসের বিপরীত কোণগুলো পরস্পর সমান। রম্বসের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে সমদ্বিখণ্ডিত করে। আবার, রম্বসের কর্ণ দুইটি পরস্পরকে সমকোণে ছেদ করে।
আরো পড়ুন ;- বল কাকে বলে? বল কত প্রকার?
রম্বসের সূত্র
রম্বসের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র হচ্ছে: কর্নদ্বয়ের গুণফল÷২
১/২ ভূমি x উচ্চতা
কর্ণদ্বয়ের গুণফল
১/২ x কর্ণদ্বয়ের গুণফল
দৈর্ঘ্য x প্রস্থ
রম্বসের বৈশিষ্ট্য কি কি
নিচে রম্বসের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো।
- রম্বসের সবগুলো বাহু পরস্পর সমান।
- রম্বসের বিপরীত কোণগুলো পরস্পর সমান।
- রম্বসের প্রত্যেক কর্ণ সংশ্লিষ্ট বিপরীত কোণ দুইটিকে সমদ্বিখণ্ডিত করে।
- রম্বসের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে সমকোণে সমদ্বিখণ্ডিত করে।
- রম্বসের কর্ণ দুইটি রম্বসটিকে চারটি সর্বসম ত্রিভুজে বিভক্ত করে।
- রম্বসের ভূমিকে উচ্চতা দিয়ে গুণ করলে ক্ষেত্রফল পাওয়া যায়।
সবশেষে বলা যায়, রম্বস কাকে বলে এ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কেও বেশ কিছু আলোচনা করা হলো। তবে রম্বসের পরিধি, ক্ষেত্রফল এর কিছু সূত্রও রয়েছে। যা অনেক সময় জ্যামিতি কিংবা অংক করার ক্ষেত্রে কাজে লাগে।