শাসন ও রাষ্ট্র পরিচালনার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমেই জানতে হয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান এমন একটি বিদ্যা, যা রাষ্ট্র, সরকার, প্রশাসন, আইন, নাগরিক অধিকার এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা ও ধারণা তার আলােচনা ক্ষেত্রের পরিধির দ্বারাই নির্ধারিত হয়। অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞানের ন্যায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানও হল গতিশীল বিজ্ঞান। মানুষের সমাজ ও সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলােচনার পরিধিও পরিমার্জিত এবং পরিবর্তিত হয়েছে। তার ফলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্বন্ধে ধারণারও বিবর্তন ঘটেছে। এই কারণে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভিন্ন সংজ্ঞার সৃষ্টি হয়েছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান ইংরেজি: Political Science। রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমাজবিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে পরিচালন প্রক্রিয়া, রাষ্ট্র, সরকার এবং রাজনীতি সম্পর্কীয় বিষয়াবলী নিয়ে আলোচনা করা হয়। এরিস্টটল রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে রাষ্ট্র সম্পর্কীয় সকল তথ্যের বিজ্ঞান নামে উল্লেখ করেছেন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে এ সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত নিচে উল্লেখ করা হয়েছে
পল জানের ভাষায়, “রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি সামাজিক বিজ্ঞান এবং ইহা রাষ্ট্রের উদ্ভব ও সরকারের বৈশিষ্ট্য লইয়া আলোচনা করে।”
অধ্যাপক গিলক্রিস্টের মতে, “Political science deals with the state and government.”
অধ্যাপক গেটেলের মতে, “রাষ্ট্রবিজ্ঞান রাষ্ট্রের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করে।”
অধ্যাপক গার্নারের মতে, “রাষ্ট্রের লইয়াই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনার সূত্রপাত ও উপসংহার।”
অধ্যাপক বার্জেস বলেন, “রাষ্ট্রবিজ্ঞান হলো স্বাধীনতা ও সার্বভৌমিকতার বিজ্ঞান।”
পরিশেষে আশা করা যায় যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে? রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝতে পারছেন। এছাড়া বুঝতে সমস্যা হলে নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে কমেন্ট করে সমস্যাটি জানানোর অনুরোধ রইলো। আর যদি রাষ্ট্রবিজ্ঞান কি এটি ভালো ভাবে বুঝে থাকেন তা হলেও মন্তব্য করতে পারেন।