শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা: মনকে সতেজ ও আরো চাঙ্গা করে তুলতে পৃথিবীর প্রায় সকল রাষ্ট্র গুলোতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি দিয়ে। তাই প্রায় সকল শিক্ষার্থী অগ্রীম ছুটির তালিকা দেখার জন্য মুখিয়ে থাকে।
কেননা, অগ্রীম ছুটির তালিকা দেখে আমরা আমরা কোথাও ভ্রমণ করা কিংবা ছুটির অবসর সময়ে কোন কাজ করার জন্য সঠিক প্ল্যান করতে পারি। তাই আজকে আলোচনা করবো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা নিয়ে। তো জেনে নেওয়া যাক্ বিস্তারিত….
পোস্টের বিষয়বস্তু
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা !
শিক্ষা ভেদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা আলাদা আলাদা হতে পারে। যেমন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা ইত্যাদি। আজকে আমরা সব কিছু নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করবো
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা
একটি নতুন বছর আসার পূর্বে সকলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা নিয়ে খুব আগ্রহী থাকেন৷ বাংলাদেশ একটি গনপ্রজাতন্ত্রী দেশ৷ অর্থাৎ এখানে গনতন্ত্র এবং প্রজাতন্ত্র উভয় চলে৷ যার ফলে নাগরিকদের সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষে প্রতি বছর ঘটা করে ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে৷
বাংলাদেশে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীর লোক থাকার কারণে তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে ছুটি ঘোষণা করে থাকে৷ তার মধ্যে মুসলিম ধর্মালম্বীদের জন্য সবচেয়ে বেশী ছুটি ঘোষণা করা হয়ে থাকে৷ যেমনঃ রোজার ছুটি,ঈদের ছুটি, ঈদে-মিলাদুন্নবী ইত্যাদি৷ এছাড়াও হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছেঃ দুর্গাপূজার ছুটি,সরস্বতী পুজোর ছুটি ইত্যাদি৷
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ইনকাম করার সহজ ১৫টি উপায় (Earn Money Online)
ছুটির শর্তসমূহঃ
- সাধারণ ছুটির সকলের জন্য প্রযোজ্য ।
- ধর্মীয় অর্থাৎ ঐচ্ছিক ছুটি উপভোগের ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রে কর্মচারীর ধর্ম নির্ভর করবে। চাইলে একজন কর্মচারী তার ধর্ম অনুযায়ী ঐচ্ছিক তিন দিন ছুটি অতিরিক্ত ভোগ করতে পারবে। তবে এর পূর্বে অবশ্যই যথোপযুক্ত কারণ প্রদর্শন করতে হবে। তবে এই ছুটি কার্যকর হতে পারবে ।
- ২০২৩ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে ছুটি গুলো কার্যকর করা হবে ।
- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চাইলে কর্তৃপক্ষের আদেশ অনুযায়ী যেকোনো সময় ছুটির তালিকা পরিবর্তন করতে পারে। বর্ধিত করতে পারে। অথবা নিজেদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে।
- ধর্মীয় ছুটিগুলো অনেক ক্ষেত্রে চন্দ্রবর্ষ এবং সূর্য বর্ষের উপর নির্ভর করবে। সে ক্ষেত্রে ছুটির তারিখ পরিবর্তন হতে পারে তবে ছুটির দিন সংখ্যার কোন ধরনের পরিবর্তন ঘটবে না ।
- একজন কর্মচারী চাইলে ন্যায় ও যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ প্রদর্শন করে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির জন্য আবেদন করতে পারেন। ছুটি মনজুর হলে উক্ত কর্মচারী তা ভোগ করতে পারবে।
- যদি কোন কারনে কতৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কোন কর্মচারী অনধিক ৭ দিন ছুটি ভোগ করে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে যত প্রযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ।
- বিশেষ দিবসগুলোতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবশ্যই কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত থেকে সেই দিবসগুলো যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করতে হবে । তবে সে ক্ষেত্রে কোন ধরনের বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
- প্রতিষ্ঠান অথবা পদমর্যাদা ভেদে ছুটির পরিমাণ অথবা ছুটির ধরন ভিন্ন হতে পারে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আওতাধীন সকল সরকারি, অর্ধ সরকারি এবং সাহিত্য শাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য এই “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা” কার্যকর ।
চাইলে আপনি এই লিংক থেকে সরাসরি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েব পোর্টালে গিয়ে ছুটির তালিকা ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
অথবা এই লিংক থেকে সরাসরি ডাউনলোড করতে পারেন।