সম্পদ কাকে বলে

মানুষের জীবনযাত্রা, সমাজের অগ্রগতি এবং রাষ্ট্রের উন্নয়নে সম্পদ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু সম্পদ কাকে বলে—এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানা খুবই জরুরি, কারণ সম্পদ শুধু অর্থ বা ধন-সম্পত্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রকৃতপক্ষে যেকোনো মূল্যবান বস্তু, দক্ষতা, যোগ্যতা, জ্ঞান, সময় কিংবা প্রাকৃতিক উপাদান—যা মানুষের প্রয়োজন পূরণে সহায়তা করে—সবই সম্পদের অন্তর্ভুক্ত। তাই সম্পদের ধারণা বহুমাত্রিক এবং বিস্তৃত।

সম্পদ কাকে বলে

সম্পদ বলতে এমন সব উপাদান, উপকরণ বা সামর্থ্যকে বোঝায়, যা মানুষের প্রয়োজন পূরণে, উৎপাদনে অথবা মূল্য সৃষ্টিতে ব্যবহৃত হয়। এগুলো মানবজীবন ও অর্থনীতির জন্য উপকারী এবং সীমিত মাত্রায় পাওয়া যায়।

সংক্ষেপে, যে কোনো উপকারী ও মূল্যবান জিনিস, যা প্রয়োজন মেটাতে সহায়তা করে, তাকে সম্পদ বলা হয়।

সম্পদের প্রধান ধরনের মধ্যে রয়েছে—

  1. প্রাকৃতিক সম্পদ: মাটি, পানি, খনিজ, বন, বায়ু ইত্যাদি

  2. মানবসম্পদ: মানুষের জ্ঞান, দক্ষতা, শ্রম

  3. মানবসৃষ্ট সম্পদ: যন্ত্রপাতি, প্রযুক্তি, ভবন, যানবাহন ইত্যাদি

  4. আর্থিক সম্পদ: টাকা, ব্যাংক জমা, শেয়ার, বন্ড ইত্যাদি
  5. সামাজিক সম্পদ: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন-শৃঙ্খলা, যোগাযোগব্যবস্থা

অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান ও মানবজীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা আমাদের শেখায় যে সম্পদ একটি জাতিকে সমৃদ্ধ করে, মানুষকে উন্নতির পথে চালিত করে এবং ভবিষ্যৎ গঠনে দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করে। এজন্য শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে সম্পদ কাকে বলে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যাতে তারা বুঝতে পারে সম্পদের ধরন, ব্যবস্থাপনা এবং সঠিক ব্যবহার কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *