সাম্যবাদী কবিতার মূলভাব হলো সমাজে সকল মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান। এখানে ধনী-গরিব, জাত-ধর্ম, বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে সবার জন্য সমান সুযোগ, ন্যায়বিচার ও ভ্রাতৃত্বের কথা বলা হয়। সাম্যবাদী কবিতায় শ্রমিক, কৃষক, মেহনতি মানুষের জীবনসংগ্রাম, শোষণমুক্ত সমাজের স্বপ্ন এবং মানবমুক্তির বার্তা প্রধান হয়ে ওঠে।
সংক্ষেপে বলা যায়, সাম্যবাদী কবিতার মূলভাব হলো —
শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠন
শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা
সমতা, ভ্রাতৃত্ব ও ন্যায়বিচারের স্বপ্ন
সাম্যবাদী কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: সাম্যবাদী কবিতা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যে কবিতায় শোষিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা, শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, সমতা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ফুটে ওঠে, তাকে সাম্যবাদী কবিতা বলে।
প্রশ্ন ২: বাংলায় সাম্যবাদী কবিতার প্রবর্তক কে?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলার সাম্যবাদী কবিতার প্রবর্তক বলা হয়। তাঁর “সাম্যবাদী” কবিতাটি এ ধারার প্রথম ও প্রধান দৃষ্টান্ত।
প্রশ্ন ৩: নজরুল ইসলামের “সাম্যবাদী” কবিতার মূল বক্তব্য কী?
উত্তর: এই কবিতায় ধনী-গরিব, উঁচু-নিচু, জাত-ধর্মের ভেদাভেদহীন এক মানবিক সমাজ গঠনের আহ্বান করা হয়েছে। কবি ঘোষণা করেছেন, সবার জন্য সমান অধিকার ও মর্যাদা চাই।
প্রশ্ন ৪: সাম্যবাদী কবিতায় কোন কোন মূল্যবোধ প্রকাশ পায়?
উত্তর:
-
সামাজিক সমতা
-
শোষণমুক্তি
-
ভ্রাতৃত্ববোধ
-
মানবিক ঐক্য
-
ন্যায় ও স্বাধীনতা
প্রশ্ন ৫: সাম্যবাদী কবিতা কেন প্রয়োজনীয়?
উত্তর: সাম্যবাদী কবিতা মানুষের মধ্যে শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জাগায় এবং সমাজে ন্যায়, সমতা ও মানবিকতার আদর্শ গড়ে তুলতে সহায়তা করে।