সুদ সম্পর্কে কুরআনের আয়াত: আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদ হারাম করেছেন

কুরআনে সুদ (রিবা) সম্পর্কে বহু জায়গায় কঠোর সতর্কবাণী এসেছে। আল্লাহ্‌ তাআলা সুদকে স্পষ্টভাবে হারাম ঘোষণা করেছেন এবং এটিকে অন্যায় ভক্ষণ বলেছেন। এখানে কয়েকটি প্রধান আয়াত উল্লেখ করা হলো:

সুদ সম্পর্কে কুরআনের আয়াত

সূরা আল-বাকারা (২:২৭৫-২৭৯)

“যারা সুদ খায় তারা দাঁড়াতে পারবে না, ঠিক যেমন দাঁড়ায় সেই ব্যক্তি যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দেয়। এটা এজন্য যে তারা বলে, ‘ব্যবসা তো সুদের মতই।’ অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন…”
(আয়াত ২:২৭৫)

“আল্লাহ সুদ ধ্বংস করেন এবং দান-সদকা বৃদ্ধি করেন…”
(আয়াত ২:২৭৬)

“হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং যদি তোমরা সত্যিকার ঈমানদার হও, তবে সুদের যে অংশ বাকি আছে তা ছেড়ে দাও।”
(আয়াত ২:২৭৮)

“যদি তোমরা তা না করো, তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা শুনে নাও…”
(আয়াত ২:২৭৯)

 সূরা আলে ইমরান (৩:১৩০)

“হে মুমিনগণ! তোমরা সুদ দ্বিগুণ-চতুর্গুণ বৃদ্ধি করে খেও না, বরং আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।”

 সূরা আন-নিসা (৪:১৬১)

“তারা সুদ গ্রহণ করেছিল অথচ তা তাদের জন্য haram করা হয়েছিল, আর তারা মানুষের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করেছিল। আমি তাদের মধ্যে অবিশ্বাসীদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করেছি।”

সূরা আর-রূম (৩০:৩৯)

“তোমরা সুদ দাও, যাতে মানুষের সম্পদে বৃদ্ধি পাও—কিন্তু তা আল্লাহর কাছে বৃদ্ধি পায় না। আর তোমরা যা যাকাত দাও আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে—এটাই (আল্লাহর কাছে) বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।”

কুরআনের এসব আয়াত থেকে স্পষ্ট হয় যে সুদ হলো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ (হারাম)। আল্লাহ একে অন্যায়, পাপ এবং যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য অপরাধ বলেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *