সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ কাকে বলে ও সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজের বৈশিষ্ট্য

সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ কাকে বলে: সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ হলো সেই ত্রিভুজ যার তিনটি কোণই ৯০° এর চেয়ে ছোট। অর্থাৎ ত্রিভুজের প্রতিটি কোণই তীক্ষ্ণ। এটি সাধারণত “acute-angled triangle” নামে পরিচিত। এই ধরনের ত্রিভুজের সব বাহু সাধারণত সমান বা ভিন্ন দৈর্ঘ্যের হতে পারে, কিন্তু কোণ সবসময় ৯০° এর কম থাকে।

উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি ত্রিভুজের কোণগুলো হয় ৪০°, ৬০° এবং ৭০°, তবে এটি সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ। এর বিপরীত হলো সমকোণী ত্রিভুজ, যেখানে একটি কোণ ৯০° এবং মন্দকোণী ত্রিভুজ, যেখানে একটি কোণ ৯০° এর বেশি। সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজে কোণগুলো সবসময় যোগফল ১৮০° হয়।

সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ কাকে বলে

সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ (Acute-angled triangle) বলতে এমন একটি ত্রিভুজকে বোঝায় যার তিনটি কোণই ৯০° এর থেকে ছোট। অর্থাৎ, ত্রিভুজের প্রতিটি কোণই তীক্ষ্ণ (acute) হয়।

উদাহরণস্বরূপ:

যদি একটি ত্রিভুজের কোণগুলো হয় 50∘,60∘,70∘ তাহলে এটি একটি সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ।

বৈপরীত্যে, যদি ত্রিভুজের কোনো একটি কোণ ৯০° হয়, তা হলে সেটি সমকোণী ত্রিভুজ (right-angled triangle) হবে।

আর যদি কোনো একটি কোণ ৯০° এর থেকে বড় হয়, তা হলে সেটি মন্দকোণী ত্রিভুজ (obtuse-angled triangle) হবে।

সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজের বৈশিষ্ট্য

সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:

  1. তিনটি কোণই তীক্ষ্ণ – অর্থাৎ প্রতিটি কোণ ৯০° এর কম।
  2. কোণের যোগফল – সব কোণের যোগফল সর্বদা ১৮০°।
  3. বাহু দৈর্ঘ্য – বাহুগুলো সমান বা ভিন্ন দৈর্ঘ্যের হতে পারে; কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই।
  4. অভ্যন্তরীণ উচ্চাংশ – সব উচ্চাংশ ত্রিভুজের ভেতরে পড়ে।
  5. অভ্যন্তরীণ কেন্দ্র – অন্তর্সূচক (incenter), কেন্দ্রকেন্দ্র (centroid), বৃত্তকেন্দ্র (circumcenter) এবং লম্বকেন্দ্র (orthocenter) সবই ত্রিভুজের ভেতরে অবস্থান করে।
  6. বৃত্ত – এটি যে কোনো ত্রিভুজের মতো একটি বৃত্তে আঁকা যায়, যেখানে সব শীর্ষবিন্দু বৃত্তের উপর থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *