স্বাধীনতাকে কেন্দ্র করে রচিত স্বাধীনতার সুখ কবিতা একটি জাতির অনুভূতি, সংগ্রাম ও বিজয়ের হৃদয়স্পর্শী প্রকাশ। যখন কোনো জাতি দীর্ঘ লড়াইয়ের পর নিজেদের স্বাধীনতা অর্জন করে, তখন সেই সুখ শুধু রাজনীতি বা ইতিহাসের পাতায় সীমাবদ্ধ থাকে না; তা ছড়িয়ে যায় মানুষের রক্তে, অনুভূতিতে এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বয়ে চলা দেশপ্রেমে।
স্বাধীনতার সুখ কবিতা
বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,
“কুঁড়ে ঘরে থাকি কর শিল্পের বড়াই,
আমি থাকি মহা সুখে অট্টালিকা পরে
তুমি কত কষ্ট পাও রোধ, বৃষ্টির, ঝড়ে৷”
বাবুই হাসিয়া কহে, “সন্দেহ কি তায়?
কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়৷
পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা৷”
পাঠক যখন স্বাধীনতার সুখ কবিতা পড়েন, তখন তিনি কেবল ইতিহাসকে স্মরণ করেন না; তিনি নিজের ভেতরের দেশপ্রেম, গর্ব এবং মানবিকতা নতুনভাবে অনুভব করেন। স্বাধীনতার সুখ কবিতা তাই একটি জাতির আত্মপরিচয়ের সৃজনশীল বহিঃপ্রকাশ, যা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—স্বাধীনতা শুধু একটি শব্দ নয়, এটি আমাদের অস্তিত্বের সবচেয়ে বড় সুখ।