নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ও পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

বর্তমানে আর হাতে লিখে জন্ম নিবন্ধন করা যাচ্ছে না। তাই নতুন করে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করতে হলে আপনাকে বেশকিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে। নিচে নতুন জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হলো:

জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জরুরী কাগজ

০-৪৫ দিনের শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণত

  1. ইপিআই টিকা কার্ড
  2. পিতা ও মাতার   ডিজিটাল  জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি (সেখানে অবশ্যই বাংলা ও ইংরেজি তে থাকতে হবে ) কপি
  3. পিতা ও মাতার NID Card এর কপি বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
  4. বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং  হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ থাকতে হবে
  5. আবেদনকারীর পিতা-মাতা/ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর দিতে হবে।

আবার ৪৬ দিন – ৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে, উপর্যুক্ত কাগজগুলো সহ আবেদন ফরম জমা দেয়ার সময় অবশ্যই ১ কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।

৫ বছরের উর্ধ্বে যারা নতুন জন্ম নিবন্ধন করবে তাদের ক্ষেত্রে,

  1. বয়স প্রমাণের জন্য চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র
  2. সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট
  3. জমি অথবা বাড়ি ক্রয়ের দলিল, খাজনা ও কর পরিশোধ রশিদ। (নদীভাঙ্গন অন্য কোন কারনে স্থায়ী ঠিকানা বিলুপ্ত হলে) দিতে হবে।

ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন ফি:

  1. ৪৫ (পাঁতাল্লিশ) দিন বয়সী শিশুর জন্ম নিবন্ধন বিনামূল্যেই করা যাবে।
  2. ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুর জন্ম নিবন্ধন ফি ২৫ টা। বিদেশ বা দেশের বাইরে থেকে জন্ম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে ফি ১ মার্কিন ডলার।
  3. বাংলাদেশ থেকে কোন নাগরিকের জন্ম সনদ সংশোধন ফি ১০০ টাকা এবং বিদেশ বা দেশের বাইরের জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফি  ২ মার্কিন ডলার।
  4. বাংলাদেশ, বিদেশ অথবা দেশের বাহির থেকে যদি কোন নাগরিক বাংলা  এবং ইংরেজি  অর্থা দুই ভাষাতে ‍মূল সনদের প্রয়োজন হয় তাহলে তা বিনা নাগরিক বা বাসিন্দা বিনা খরচে বা বিনা ফি তে পেতে পারবেন। (কোন ফি প্রযোজ্য নহে।
  5. যদি আপনি বাংলা-ইংরেজি দুটো ভাষাতেই জন্ম  সনদের নকল কপি পেতে চান তাহলে বাংলাদেশ থেকে ৫০ টাকা এবং বিদেশ অর্থাৎ দেশের বাহির থেকে ১ মার্কিন ডলার ফি প্রযোজ্য হবে।

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন

  1. জন্ম নিবন্ধন এর আবেদন করতে-https://bdris.gov.bd/br/application প্রথমে আপনি এই লিংকে প্রবেশ করুন
  2. পরবর্তীতে জন্ম নিবন্ধন সনদ আপনার কোন ঠিকানার অফিস থেকে সংগ্রহ করতে চান সেই লেখার নিচে লক্ষ্য করুন-  জন্মস্থান, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানার বক্স রয়েছে। আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধনটি যেই স্থান হতে আবেদন করতে চান সেই খানে ক্লিক করুন এবং তার নিচে আরেকটি বক্স রয়েছে আপনি যদি বিদেশ থেকে বা দেশের বাহির থেকে জন্ম নিবন্ধন পেতে চান তাহলে বাংলাদেশ অনুমোদিত দূতাবাস চিহ্নিত করে ‘‘পরবর্তী’’ বাটনে ক্লিক করুন।
  3. এর পর আপনি চিহ্নিত ঘর পূরণ করুন এই ভাবে। নামের প্রথম অংশ বাংলা- অন্তর, নামের শেষ অংশ- দাস (অন্তর দাস), জন্ম তারিখ- 31/04/2000, পিতা মাতার কততম সন্তান- 1, লিঙ্গ- পুরুষ, জন্ম স্থানের ঠিকানা- ঢাকা, বাংলাদেশ (সম্পুর্ণ ঠিকানা প্রদান করুন)। তার পর ‘‘পরবর্তী’’ বাটনে ক্লিক করুন।
  4. তারপর লক্ষ্য করুন, পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ও জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার এবং পিতা মাতা কোন দেশের নাগরিক তা দেওয়ার বক্স আসবে। উল্লেখ্য, আপনার জন্ম তারিখ যদি 2001 সনের আগে হয় অর্থৎ 31/04/2000 ইং তাহলে আপনার পিতা মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এর প্রয়োজন হবে না শুধুমাত্র পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র, বাংলা নাম এবং ইংরেজী নাম দিলে হবে এবং যদি আপনার জন্ম তারিখ 2000 সন এর পরে হয় অর্থাৎ 01/01/2001 তাহলে আপনার পিতা মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন অবশ্যই দিতে হবে বা বাধ্যতামূলক। নিয়মানুযায়ী পূরন করা হলে ‘‘পরবর্তী’’ বাটনে ক্লিক করুন।
  5. তার পরবর্তীতে পেজে আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন দুইটি অপশন এসেছে যথাক্রমে- (1) আপনি কি নিম্নলিখিত কোন ঠিকানা আপনার স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করতে চান? (2) আপনি কি নিম্নলিখিত কোন ঠিকানা আপনার বর্তমান ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করতে চান? আপনি যদি আর কোন ঠিকানা ব্যবহার করতে ইচ্ছুক না হন তাহলে ‘‘কোনটিই নয়’’ ক্লিক করুন এবং তার নিচে ‘‘পরবর্তী’’ বাটনে ক্লিক করুন।
  6. তারপর আপনার বয়স যদি 18 বছরের উপরে হয় তাহলে আপনি নিজে আবেদন করতে পারবেন আর যদি আপনার বয়স 18 বছরের নিচে  হয় তাহলে আপনি আবেদন করার যোগ্য ব্যক্তি নহে সে ক্ষেত্রে আপনার নিকটতম আত্মীয় এবং পিতা-মাতা আবেদন কারী হতে পারবে।  যিনি আবেদন কারী হবেন তাহার  জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বার, জন্ম নিবন্ধন নম্বর, মোবাইল নাম্বার খালিস্থানে প্রদান করুন। পরবর্তীতে ‘‘সংযুক্তি ( প্রতিটি ফাইলের জন্য, সর্বোচ্চ ফাইল সাইজ 100 কিলো বাইট )’’ লেখাটির নিচে ‘সংযোজন’’ এর ক্লিক করুন এবং প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র যেমন- শিশু টিকা কার্ড, পিতার জন্ম নিবন্ধন, মাতার জন্ম নিবন্ধন, পিতার জাতীয় পরিচয় পত্র, মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং হাসপাতালের সার্টিফিকেট সংযুক্ত করুন। তার পর ‘‘পরবর্তী’’ বাটনে ক্লিক করুন।
  7. আবেদনপত্রটি সাবমিট করার পূর্বে সকল তথ্য ঠিক আছে কিনা দেখে নিন। মনে রাখবেন একবার সাবমিট করা হয়ে গেলে আবেদনপত্রটিতে আর এডিট করার সুযোগ থাকবে না। আবেদন পত্রের সকল তথ্য সঠিক ভাবে যাচাই করে  ‘‘সাবমিট’’ বাটনে ক্লিক করুন।
  8. সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে আপনার আবেদনটি সফল ভাবে করা হবে এবং পরবর্তীতে অনলাইন থেকে bdris online ফরম টি সংরক্ষণ করে কালার প্রিন্ট করুন এবং আপনার নিকটস্থ পৌরসভা, ভোট অফিস অথবা সিটি কর্পোরেশনে জমা প্রদান  করতে হবে।

এভাবেই আপনি ঘরে বসেই নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম:

বর্তমান সময়ে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবারই জন্ম নিবন্ধন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি কাগজ। আমাদের জীবনে প্রায় সব ক্ষেত্রেই জন্ম নিবন্ধন এর গুরুত্ব অত্যধিক। বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি থেকে শুরু করে জাতীয় পরিচয় পত্র করা এবং চাকরির ক্ষেত্রে পর্যন্ত জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজন হয়।

আগে হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন এর প্রচলন ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার ২০২১ সাল থেকে ডিজিটালভাবে জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়া হাতে নেয়। আগে জন্ম নিবন্ধনের সনাক্তকরণ সংখ্যা ছিল ১৬। বর্তমানে এর সংখ্যা বা ডিজিট হল ১৭টি।

তাই আপনার পূর্বে হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধনটি অকেজো হয়ে গেছে। ডিজিটাল ভাবে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য সরকার নির্দেশনা দিয়েছে। অনেকের কাছেই ডিজিটাল ভাবে জন্ম নিবন্ধন করা জটিল প্রক্রিয়া মনে হতে পারে। আজকে আমরা আলোচনা করব কিভাবে আপনি নিজে ঘরে বসেই আপনার হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধনটি ডিজিটাল করবেন।

আরো পড়ুন ;-অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি করার নিয়ম, আবেদন ও যাচাইকরণ

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

অনলাইনে বলতেই যে পুরো কাজ ঘরে বসে অনলাইনে হয়ে যাবে এমনটা না। এটা অনলাইন ও অফলাইনের মিশ্রণ। তবে আপনার হয়ে কেউ আবেদন জমা দিয়ে আসতে পারবে। একটা ই-মেইল ও মোবাইল নাম্বার লাগবে।

এখানে দুইটি ধাপ।

  1. প্রথম ধাপে অনলাইনে আবেদন করবেন।
  2. এরপর এই আবেদন প্রিন্ট করাতে হবে। এখন এই প্রিন্টেড আবেদন, সংযোজনীসহ উপরোক্ত স্থানে জমা দিতে হবে।
  3. প্রথমে আপনাকে https://bdris.gov.bd/br/reprint/addhttps://bdris.gov.bd/br/reprint/add ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তাই যে কোন ডিভাইস থেকে আপনারা ক্রোম ব্রাউজার থেকে উপর্যুক্ত সাইটে চলে যান। তারপর জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার জন্য যে আবেদন করবেন সে আবেদনের প্রথম পেজে চলে যাবেন।
  4. সেখানে গিয়ে আপনাদের প্রথমে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের থাকা নিবন্ধন নাম্বার প্রথম ঘরে বসিয়ে দিবেন। তারপরে জন্ম নিবন্ধন সনদের থাকা তথ্য অনুযায়ী জন্ম তারিখ সঠিকভাবে বসিয়ে দিবেন।
  5. জন্মতারিখ বসানোর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম এর জন্ম মাস সিলেক্ট করবেন এবং তারিখ সিলেক্ট করবেন। তারপরে এডিট অপশনে গিয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের যে সাল দেওয়া আছে সেই সাল সঠিকভাবে দিয়ে দিন। এখন আপনাকে আপনার এই জন্ম নিবন্ধন সনদ এর নাম্বার এবং তারিখ অনুসন্ধান করুন অপশনে চাপ দিতে হবে এবং সেখানে অনুসন্ধান করার পরে আপনার তথ্য অনুযায়ী নিবন্ধনকারী ব্যক্তির তথ্য প্রদর্শিত হবে। আপনার চাওয়া তথ্য অনুসারে যদি সেখানকার তথ্য মিলে যায় তাহলে আপনাদেরকে কনফার্ম করতে হবে। এখন পরবর্তী পেজে চলে যান এবং পরবর্তী ধাপ অনুসরন করুন।
  6. পরবর্তী অপশনে ক্লিক করার মাধ্যমে পরবর্তী পেজে চলে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে নিবন্ধন কার্যালয় এর তথ্য প্রদান করবেন। অর্থাৎ আপনি যে স্থান থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদের ডিজিটাল কপি সংগ্রহ করবেন সেই স্থানের ঠিকানা এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য অনুযায়ী সঠিক ঠিকানা প্রদান করুন। প্রকৃতপক্ষে আপনি জন্ম নিবন্ধন সনদ যে স্থানের ঠিকানা দিয়ে তৈরি করেছেন সেই স্থানের ঠিকানা আপনাকে এখানে প্রদান করতে হবে। তবে আপনার বর্তমান ঠিকানা যদি অন্য কারো হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে জন্ম নিবন্ধন সনদের ডিজিটাল কপি সংগ্রহ করার জন্য অবশ্যই সনদে দেওয়া ঠিকানায় অনুসারে নিবন্ধন কার্যালয় এর কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
  7. তাই নিবন্ধন কার্যালয় এর তথ্য প্রদান করার ক্ষেত্রে দেশের নাম, বিভাগের নাম, জেলার নাম সহ অন্যান্য স্থানীয় যাবতীয় তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। এখানে আপনারা প্রত্যেকটি তথ্য প্রদান করার পর পরবর্তীতে আপনাদের সামনে আরো একটি ঘর ফাঁকা চলে আসবে এবং চাহিত তথ্য অনুসারে সঠিক তথ্য প্রদান করবেন।
  8. জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার জন্য আপনারা যদি নিজেরা জন্ম নিবন্ধন সনদের পুনর্মুদ্রণ এর উদ্দেশ্যে আবেদন করে থাকেন তাহলে আবেদনকারীর তথ্য বা সম্পর্কের জায়গায় নিজ অপশন দিয়ে দিবেন। তবে অনেক মানুষ আছেন যারা এই নিয়ম পড়ার পরেও কম্পিউটার অপারেটরের সহায়তা গ্রহণ করবেন। সেক্ষেত্রে তাকে দিয়ে কাজ করাতে চাইলে আপনারা অন্যান্য অপশন দিবেন এবং মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস প্রদান করার সময় নিজের তথ্য প্রদান করবেন। এভাবে আবেদনকারীর সকল তথ্য এবং ঠিকানা প্রদান করার পর আপনারা একটু নিচে চলে যাবেন।
  9. এখন আপনাদেরকে সেখানকার নির্দেশনা পড়তে হবে এবং অভিভাবক ব্যতীত অন্য কেউ হলে সেখানে তার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার প্রদান করতে হবে। সেখানের সকল তথ্য প্রদান করার পরে আপনাদের অতিরিক্ত আরও কোন তথ্য প্রদান করার প্রয়োজন নেই। শুধু সাবমিট বাটনে ক্লিক করে আপনারা পরবর্তী পেজে যাবেন এবং পরবর্তী পেজে যাবার পরে জন্ম নিবন্ধন সনদের পুনর্মুদ্রণ কপি প্রিন্ট দেওয়ার অপশন পেয়ে যাবেন।
  10. আপনার এই আবেদনের কপি প্রিন্ট দিয়ে নিবেন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ অথবা নিবন্ধকের কার্যালয় যোগাযোগ করবেন। তাদের আপনারা যখন এই আবেদন পত্রের কপি দিবেন এবং অন্যান্য চাহিদা তথ্য অনুসারে কাগজ পত্র প্রদান করবেন তখন আপনার থেকে কিছুদিন সময় তারা গ্রহণ করবে। তবে জন্ম নিবন্ধন সনদের পুনর্মুদ্রণ করার জন্য কোন ধরনের ফি প্রদান করতে হবে না। তাই আপনারা উপরের লিখিত নিয়ম অনুসরণ করে আবেদনপত্রের অ্যাপ্লিকেশন আইডি সংগ্রহ করার পাশাপাশি সেই কপি প্রিন্ট দিয়ে নিবেন এবং খুব সীমিত সময়ের ভেতরে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদের ডিজিটাল কপি সংগ্রহ করে নিবেন।
  11. প্রকৃতপক্ষে জন্ম নিবন্ধন সনদ এর নতুন তৈরি করার জন্য এবং তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফি প্রদান করার প্রয়োজন হলেও পুনর্মুদ্রণ করার জন্য কোন ধরনের আবেদন ফি প্রদান করতে হবে না। তাছাড়া আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের পুনর্মুদ্রণ করার ক্ষেত্রে আবেদনের পরবর্তী কি অবস্থায় রয়েছে তা ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন। তাই এই আবেদনের কি অবস্থায় রয়েছে তা জানার জন্য অ্যাপ্লিকেশন আইডি এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের থাকা জন্মতারিখ ব্যবহার করে আপনারা আবেদন এর বর্তমান অবস্থা চেক করে নিন।
  12. জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত এখন অনেক ঝামেলা হচ্ছে বলে নতুন কোন জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে হলে অবশ্যই অভিভাবকের জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী তা তৈরি করবেন। তবে অনলাইনের মাধ্যমে এই কাজ করা হচ্ছে বলে এবং নির্ধারিত পরিমাণ আবেদন ফি প্রদান করার মাধ্যমে এই কাজ করা হচ্ছে বলে কাউকে আপনারা অধিক অর্থ প্রদান করে দ্রুত এই কাজ করে নেওয়ার জন্য কোন ধরনের সুবিধা গ্রহণ করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে এবং আপনারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

লিখেছেন: রাকিব খান

1 Comment.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *