ব্লগ থেকে আয় করার উপায়

ব্লগ থেকে আয় করার উপায়: অনলাইনে ব্লগিং করে ঘরে বসে টাকা আয় নিয়ে আজ বিস্তারিত আলোচনা করবো।তার আগে অবশ্যই জানতে হবে ব্লগিং কি? তার আগে ব্লগ নিয়ে সংক্ষেপে কিছু জেনে নেওয়া যাক।

ব্লগ থেকে আয় করার উপায়

আপনি যদি ব্লগিং কোন সাইট শুরু করতে চান তাহলে,বলে রাখি অনলাইন থেকে ব্লগিং করে আয়ের সুযোগটি এখনো আপনার রয়েছে।

এ পর্যায়ে আমি ব্লগিং করে সবচেয়ে সহজে আয় করার উপায় গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

ব্লগিং করে মূলত নিম্নলিখিত ভাবে আয় করা যায়-

  • ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে টাকা আয়
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে
  • অন্যকারো ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানে ব্লগ লিখে আয়
  • প্রোডাক্ট সেলের মাধ্যমে

ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে

ব্লগিং ওয়েবসাইটকে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মনেটাইজ করে অনলাইনে টাকা আয় করা যায় বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে।যখন আপনি কোন বিষয়ে ব্লগিং করবেন আপনার ওয়েবসাইটে বা ব্লগপোস্টে বিভিন্ন আর্টিকেল লেখা বা পোস্ট করা থাকবে কেবল মাত্র তখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটটিকে গুগল এডসেন্সের এডভারটাইজিং পলিসি মেনে মনিটাইজ করে, তারপর ওয়েবসাইটটিতে যখন ভিজিটর প্রবেশ করবে তাদের কাছে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের বিনিময়ে আপনাকে অর্থ প্রদান করা হবে।এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ব্লগিং করে টাকা আয় করার জন্য।

আপনার ব্লগে আবার কি ধরণের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হচ্ছে তার উপরেও আয় নির্ভর করবে ৷ সুতরাং ব্লগসাইট থেকে ইনকাম কত হবে তা নির্ভর করছে তা দেখে নিন।

  • ভিজিটর সংখ্যার উপর।
  • বিজ্ঞাপনে ক্লিক সংখ্যার উপর।
  • ভিজিটরের লোকেশনের উপর।
  • বিজ্ঞাপণের ধরনের উপর।
  • ব্লগসাইটের পপুলারিটির উপর।
  • ব্লগসাইটের বয়সের উপর।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে

এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা আমাদের প্রায় সকলের ই আছে।এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটের প্রোডাক্টগুলোর এফিলিয়েট লিংক কপি করে ব্লগার ওয়েবসাইটের আর্টিকেলের ফাঁকে ফাঁকে সাজেস্টেড প্রোডাক্ট হিসেবে দিয়ে দেন এবং সেই লিংক এ ক্লিক করে কোন অডিয়েন্স যদি সেটা ক্রয় করে তবে সেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন আপনি পেয়ে যাবেন।

উদাহরণ দিয়ে বললে হয়তো আরেকটু সহজ হয়।ধরুন আপনি চুলের যত্নের উপরে কোন ব্লগ তখন কোন চুলের তেল বা এমন কোন জিনিস যেটা ওই লেখার সাথে রিলেটেড সেটার লিংক দিয়ে দিলে,সেই পণ্যটি যদি কোন অডিয়েন্স আপনার আর্টিকেল পড়তে এসে ক্রয় করে তবে সেই পণ্যের জন্য আপনাকে অর্থ প্রদান করা হবে নির্দিষ্ট অংশের।

আশা করি,এখন বিষয় টি সম্পর্কে আপনারা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন

ড্রাগন ফল এর উপকারিতা ও ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক

অন্যকারো সাইটে ব্লগ লিখে

আপনার নিজস্ব কোন সাইট প্রতিষ্ঠার ইচ্ছে না থাকে তাহলে আপনি অন্য কোন ব্যক্তির সাইটে যুক্ত হয়ে ব্লগার হিসেবে ব্লগে লিখে তার বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

আইটি নাট হোস্টিং, নেট কথা প্রভৃতি ওয়েবসাইটে ব্লগ লেখার মাধ্যমে খুব দ্রুত আয় করা সম্ভব।তবে একবার লিখে আর্টিকেল বেচে দিলে ওই আর্টিকেল থেকে আপনার আর কোন আয় আসবেনা।

পণ্য বিক্রির মাধ্যমে

আপনার ব্লগ সাইটে যদি কোন ধরনের নিজস্ব বা থার্ড পার্টি থেকে নিয়ে আসা কোনো পণ্য সেটা ডিজিটাল মাধ্যমে হোক অথবা অনলাইনে প্রোডাক্ট অর্ডার করে ফিজিক্যালি সেলের মাধ্যমে হোক আপনি কিন্তু এই পদ্ধতি অবলম্বন করে টাকা আয় করতে পারবেন। চাইলে এরই সাথে অনলাইন পেমেন্ট এর ব্যবস্থা যুক্ত করতে পারবেন। এতে করে আপনি আপনার প্রডাক্ট এর মার্কেটিং করে ব্লগার সাইটটিকে মনিটাইজ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *