পোস্টের বিষয়বস্তু
কেন্দ্রীয় প্রবণতা কাকে বলে
কেন্দ্রীয় প্রবণতার অর্থ হল কেন্দ্রের দিকে যাওয়ার ঝোক। একগুচ্ছ স্কোরে পৃথক মানের স্কোর থাকলে তাদের ভরকেন্দ্র যাওয়ার ঝোঁক বা প্রবণতা থাকে। এটাই হলো কেন্দ্রীয় প্রবণতা। অর্থাৎ যে সমস্ত বন্টনের প্রতিনিধি স্বরূপ কাজ করে। কেন্দ্রীয় প্রবণতা বা কেন্দ্রীয় অবস্থানের সূচক একটি বন্টনের বিভিন্ন স্কোরের মধ্যে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও তাদের মাঝামাঝি যাওয়ার একটি প্রবণতা থাকে।
পরিসংখ্যানিক তথ্য উপাত্যে কেন্দ্রীয় প্রবণতা খুবি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেন্দ্রীয় প্রবণতা সম্পর্কে সঠিক ধারনার্জনের মাধ্যমে পরিসংখ্যানে তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ, তথ্য উপাত্তের মাননির্ণয়, অনুধাবন ও গাণিতিক সমস্যা সমাধান সহ বাস্তবিক জীবনে পরিসংখ্যানিক পদ্ধতি প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব সম্পর্কে অনুধাবন করা সম্ভব হয়। আমাদের আজকের আলোচনা কেন্দ্রীয় প্রবণতা সম্পর্কে।
আজকের আলোচনার মাধ্যমে আশাকরি কেন্দ্রীয় প্রবণতার সংজ্ঞা, প্রয়োগ, কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপের পদ্ধতি ও প্রকারভেদ নিয়ে সকল অজানা তথ্য জেনে ও বুঝে, গাণিতিক সমস্যা সমাধান পূর্বক বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগ করতে পারবো।
আরো পড়ুন ;- উপাত্ত কাকে বলে? উপাত্ত কত প্রকার? বিস্তারিত
কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ কয়টি
তথ্য উপাত্তে মাঝা মাঝি মানের গণসংখ্যা সবসময় বেশি হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। যাকে আমরা কেন্দ্রীয় প্রবণতা বলে থাকি। কেন্দ্রীয় প্রবণতা বা গণসংখ্যার মাঝামাঝি অবস্থান নির্ণয় করার ৩ টি পদ্ধতি রয়েছে।
কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ ৩ টি, যথা-
১. গড়
২. মধ্যক
৩. প্রচুরক
কেন্দ্রীয় প্রবণতা সম্পর্কে মূল কথাঃ
১. তথ্য উপাত্তের কেন্দ্রের দিকে পুঞ্জিভূত হওয়ার প্রবণতা কে কেন্দ্রীয় প্রবণতা বকে।
২. কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের পদ্ধতি তিনটি।
৩. কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ গুলো হলো, গড়, মধ্যক ও প্রচুরক।
৪. গড় মাঝামাঝি মান নির্ণয়ে ব্যবহার করা হয় বলে এটি কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের পদ্ধতি।
৫. মধ্যক মাঝামাঝি মান নির্ণয় করতে ব্যবহার করা হয়। তাই মধ্যক কেন্দ্রীয় প্রবণতার একটি পরিমাপক।
৬. প্রচুরক সবসময় মাঝামাঝি স্থানে থাকে তাই প্রচুরক পদ্ধতি কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের অন্যতম একটি পদ্ধতি।