বৃত্তচাপ কাকে বলে: বৃত্তচাপের ক্ষেত্রফলের ও দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের সূত্র

বৃত্তচাপ কাকে বলে – যখন কোনো বস্তু বৃত্তাকার পথে গতিশীল হয়, তখন সেটিকে কক্ষপথে রাখার জন্য একটি কেন্দ্রের দিকে ক্রিয়াশীল বলের প্রয়োজন হয়। এই কেন্দ্রাভিমুখী বলকে বৃত্তচাপ বলে। বস্তুকে বৃত্তাকার পথে রাখার জন্য সবসময় এই বলটি কেন্দ্রের দিকে কাজ করে। যেমন, দড়ির সঙ্গে বাঁধা একটি পাথর ঘোরালে দড়ি যে টান সৃষ্টি করে, তা-ই বৃত্তচাপ। এই বল না থাকলে বস্তুটি সরলরেখায় ছুটে যেত।

বৃত্তচাপ (Centripetal force) কাকে বলে তা নিচে ব্যাখ্যা করা হলো:

বৃত্তচাপ (Arc) কী?

বৃত্তের পরিধির যে কোনও অংশকে বৃত্তচাপ বলে।

সংজ্ঞা:

যখন কোনো বস্তু বৃত্তাকার পথে চলতে থাকে, তখন সেই বস্তুটিকে কক্ষপথে রাখার জন্য একটি বল সবসময় কেন্দ্রের দিকে ক্রিয়া করে। এই কেন্দ্রাভিমুখী বলকেই বৃত্তচাপ (Centripetal Force) বলা হয়।

উদাহরণ:

  • দড়ির সঙ্গে বাঁধা একটি পাথর যদি বৃত্তাকার পথে ঘোরানো হয়, তাহলে দড়ি টান দিয়ে পাথরটিকে কেন্দ্রের দিকে টানে — এটাই বৃত্তচাপ।
  • পৃথিবীর চারপাশে চাঁদের আবর্তনের সময় পৃথিবীর অভিকর্ষ বল চাঁদের উপর বৃত্তচাপ হিসেবে কাজ করে।

পরিধি কাকে বলে: বৃত্তের পরিধি নির্ণয়ের সূত্র

সূত্র:

যেখানে,
F = বৃত্তচাপ,
m = বস্তুর ভর,
v = বস্তুর বৃত্তাকার গতির মান (বেগ),
r = বৃত্তাকার পথের ব্যাসার্ধ।

বৃত্তচাপের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র

যেখানে,

  • l= বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্য
  • θ = কেন্দ্রীয় কোণ (ডিগ্রিতে)
  • r = বৃত্তের ব্যাসার্ধ
  • π≈3.1416

বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের সূত্র

যেখানে,

  • A = ক্ষেত্রফল (বৃত্তচাপ ও দুইটি রেডিয়াস দ্বারা গঠিত খণ্ড বা sector)
  • θ = কেন্দ্রীয় কোণ (ডিগ্রিতে)
  • r = বৃত্তের ব্যাসার্ধ
  • π≈3.1416

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *