স্থূলকোণ হলো এমন কোণ, যার মান ৯০ ডিগ্রির বেশি কিন্তু ১৮০ ডিগ্রির কম হয়। অর্থাৎ সমকোণের চেয়ে বড় এবং সোজা কোণের চেয়ে ছোট কোণকেই স্থূলকোণ বলা হয়। সাধারণত জ্যামিতিতে কোণ নির্ণয় করার সময় আমরা তিন প্রকার কোণ পাই—তীক্ষ্ণকোণ, সমকোণ ও স্থূলকোণ।
এর মধ্যে স্থূলকোণ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকার, যা স্পষ্টভাবে বোঝায় রেখাদ্বয়ের মধ্যে কতটা বিস্তৃত কোণ তৈরি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ ১০০°, ১২০°, ১৫০° ইত্যাদি কোণ স্থূলকোণ। দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন বস্তু যেমন দরজা খোলা অবস্থায় কিংবা ঘড়ির কাঁটা ১০টা ১০ মিনিটে যে কোণ তৈরি করে, তা স্থূলকোণ হতে পারে।
স্থূলকোণ কাকে বলে
স্থূলকোণ হলো এমন একটি কোণ, যার মান ৯০°-এর চেয়ে বড় কিন্তু ১৮০°-এর চেয়ে ছোট।
অর্থাৎ, 90∘<স্থূলকোণ<180∘
উদাহরণঃ
-
100°
-
120°
-
150°
এসব কোণই স্থূলকোণ।
স্থূলকোণ এর বৈশিষ্ট্য সমূহঃ
-
স্থূলকোণের মান ৯০°-এর বেশি কিন্তু ১৮০°-এর কম হয়।
-
প্রতিটি স্থূলকোণ একটি সমকোণের চেয়ে বড় এবং সোজা কোণের চেয়ে ছোট।
-
স্থূলকোণ কখনোই তীক্ষ্ণকোণ বা সমকোণ হতে পারে না।
-
ত্রিভুজে সর্বাধিক একটি স্থূলকোণ থাকতে পারে, কারণ একটি ত্রিভুজের তিন কোণের যোগফল সর্বদা ১৮০°।
-
স্থূলকোণ দেখলে বোঝা যায় যে রেখাদ্বয় তুলনামূলকভাবে বেশি খোলা অবস্থায় আছে।
-
উদাহরণ: ১০০°, ১২০°, ১৫০° ইত্যাদি সবই স্থূলকোণ।