পাতলা পায়খানা (ডায়রিয়া) হলে সাধারণত কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়। তবে হালকা ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে কিছু প্রচলিত ট্যাবলেট/ঔষধ ব্যবহার করা হয়:
পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম
-
ORS (ওরস্যালাইন) – প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা। শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করে।
-
লোপেরামাইড (Loperamide / Imodium) – হঠাৎ ডায়রিয়া বন্ধ করার জন্য ব্যবহার হয় (শিশুদের জন্য নয়, কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)।
-
মেট্রোনিডাজল (Metronidazole / Flagyl) – যদি ডায়রিয়া আমাশয়/ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের কারণে হয়, তখন ডাক্তার দিয়ে থাকেন।
-
সিপ্রোফ্লক্সাসিন (Ciprofloxacin) – কিছু ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়াল ডায়রিয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় (শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শে)।
করণীয়
-
প্রচুর পরিমাণে পানি/ওরস্যালাইন খেতে হবে।
-
খুব বেশি তেল-ঝাল খাবার এড়িয়ে হালকা খাবার খেতে হবে।
-
যদি বারবার পাতলা পায়খানা হয়, রক্ত আসে, জ্বর থাকে, অথবা পানিশূন্যতা হয়—তাহলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তার দেখাতে হবে।
কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়
পাতলা পায়খানা হলে শুধু ওষুধ নয়, খাবারের মাধ্যমে যত্ন নেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিচে সহজভাবে জানাচ্ছি—
পাতলা পায়খানায় যেসব খাবার উপকারী
-
ওরস্যালাইন (ORS): প্রতিবার পায়খানা হওয়ার পর খেতে হবে, যাতে শরীরে পানির ঘাটতি না হয়।
-
ভাতের মাড় / খিচুড়ি (কম তেল মশলা): সহজপাচ্য ও শরীরে শক্তি যোগায়।
-
কলা (পাকা কলা): কলায় পটাশিয়াম থাকে, যা পানিশূন্যতা পূরণে সাহায্য করে ও পায়খানা বাঁধতে সাহায্য করে।
-
সেদ্ধ আলু: লবণ দিয়ে হালকা করে খাওয়া যায়।
-
টোস্ট, বিস্কুট, মুড়ি: হালকা খাবার হিসেবে ভালো।
-
ডাবের পানি: পানিশূন্যতা রোধে খুবই উপকারী।
যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে
-
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার (ডায়রিয়া বাড়াতে পারে)
-
অতিরিক্ত তেল-ঝাল, ভাজাপোড়া খাবার
-
কাঁচা শাকসবজি ও ফল (পাকলে কলা খাওয়া যাবে)
-
সফট ড্রিঙ্কস ও অ্যালকোহল
মনে রাখবেন
-
হালকা ডায়রিয়া সাধারণত ২–৩ দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়।
-
যদি বারবার পায়খানা হয়, শরীর দুর্বল লাগে, রক্ত/শ্লেষ্মা আসে, বা জ্বর থাকে তবে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।