রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী: নাম: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম: ৭ মে ১৮৬১, কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি মৃত্যু: ৭ আগস্ট ১৯৪১, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, কলকাতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবনী
শৈশব ও শিক্ষা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুর্দশ সন্তান। তিনি ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য, সংগীত ও শিল্পকলার প্রতি অনুরাগী ছিলেন। আনুষ্ঠানিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনার চেয়ে বাড়িতেই বিভিন্ন গৃহশিক্ষকের কাছে বিদ্যা অর্জন করেছিলেন। ১৮৭৮ সালে আইন পড়ার জন্য ইংল্যান্ডে যান, কিন্তু পড়াশোনা শেষ না করেই দেশে ফিরে আসেন।
সাহিত্যকর্ম
রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের নবজাগরণের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব। তাঁর রচনায় মানবতা, প্রকৃতি, প্রেম ও দেশের প্রতি মমত্ববোধ গভীরভাবে ফুটে উঠেছে। তিনি কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, সংগীত—প্রায় সব ধারাতেই সৃষ্টিশীলতা দেখিয়েছেন।
-
কবিতা: গীতাঞ্জলি, সোনার তরী, বলাকা, মানসী ইত্যাদি।
-
উপন্যাস: গোরা, ঘরে-বাইরে, চোখের বালি, শেষের কবিতা প্রভৃতি।
-
গল্প: গল্পগুচ্ছ—যেখানে “কাবুলিওয়ালা”, “পোস্টমাস্টার” ইত্যাদি কালজয়ী গল্প অন্তর্ভুক্ত।
-
নাটক: ডাকঘর, রক্তকরবী, রাজা।
-
গান: প্রায় ২,২০০-রও বেশি গান রচনা করেছেন, যা রবীন্দ্রসংগীত নামে পরিচিত।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন—তিনি প্রথম এশীয় নোবেলজয়ী।
শিক্ষাব্যবস্থায় অবদান
শান্তিনিকেতনে ১৯০১ সালে তিনি একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়। এখানে তিনি ভারতীয় ও পাশ্চাত্য শিক্ষার সমন্বয় ঘটানোর চেষ্টা করেছিলেন।
রাজনৈতিক ও সামাজিক ভূমিকা
তিনি ব্রিটিশ শাসনের অন্যায় নীতির প্রতিবাদ করেছিলেন। ১৯১৯ সালের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের পর ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত “নাইটহুড” খেতাব ফিরিয়ে দেন।
মৃত্যু
১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট কলকাতায় জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উত্তরাধিকার
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেবল সাহিত্যিক নন, তিনি ছিলেন দার্শনিক, সংগীতকার, শিক্ষাবিদ ও চিন্তক। তাঁর রচিত গান ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত—
-
ভারত: জন গণ মন
-
বাংলাদেশ: আমার সোনার বাংলা