গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাব ও পানি ভাঙ্গার পার্থক্য নিয়ে অনেক মা–ই চিন্তায় থাকেন—সাদা স্রাব (ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ) আর পানি ভাঙা (Amniotic fluid leakage বা water breaking) আসলে কিভাবে আলাদা বোঝা যায়। নিচে মূল পার্থক্যগুলো তুলে ধরলাম:
সাদা স্রাব (Normal Vaginal Discharge)
-
রঙ: সাদা, দুধের মতো বা হালকা হলুদাভ।
-
ঘনত্ব: সাধারণত ঘন, আঠালো বা ক্রিমি ধরনের হয়।
-
গন্ধ: সাধারণত তেমন কোনো গন্ধ থাকে না, তবে হালকা টক গন্ধ হতে পারে।
-
সময়: ধীরে ধীরে বের হয়, টুকটাকভাবে আসে।
-
কারণ: হরমোনের পরিবর্তন ও শরীরের প্রাকৃতিক সুরক্ষা ব্যবস্থা।
-
ঝুঁকি: সাধারণত ক্ষতিকর নয়। তবে যদি চুলকানি, জ্বালা, দুর্গন্ধ বা সবুজাভ/বাদামী রঙ হয় তবে সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।
পানি ভাঙা (Amniotic Fluid Leakage / Water Breaking)
-
রঙ: স্বচ্ছ বা হালকা হলুদাভ পানি।
-
ঘনত্ব: একেবারে পানির মতো, পাতলা ও তরল।
-
গন্ধ: হালকা মিষ্টি গন্ধ হতে পারে, প্রস্রাবের মতো তীব্র গন্ধ হয় না।
-
সময়: হঠাৎ ঝরনার মতো বের হতে পারে, অথবা টপটপ করে বারবার গড়িয়ে আসতে পারে।
-
অনুভূতি: অনেক সময় মনে হয় যেন প্রস্রাব আটকে রাখতে পারছেন না।
-
ঝুঁকি: এটা প্রসবের প্রস্তুতি বা জরুরি অবস্থা নির্দেশ করতে পারে। পানি ভাঙার পর সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কিভাবে বুঝবেন?
-
আঙুলে নিয়ে দেখলে স্রাব ঘন ও টানটান হয়, কিন্তু পানি একেবারে পাতলা।
-
প্যাড ব্যবহার করলে—স্রাব সাদা দাগ ফেলে, পানি শুকালে চিহ্ন প্রায় থাকে না।
-
সন্দেহ হলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাওয়া জরুরি, বিশেষ করে যদি ৩৭ সপ্তাহের পর হয় অথবা সঙ্গে পেটব্যথা, রক্ত বা অস্বাভাবিক গন্ধ থাকে।