থানকুনি পাতা (Centella Asiatica), অনেক জায়গায় একে ব্রাহ্মী বুটি বা গোটুকোলা নামেও ডাকা হয়। এটি একটি ভেষজ উদ্ভিদ, যা শত বছর ধরে আয়ুর্বেদ, ইউনানি ও চীনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে। নিচে থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা দেওয়া হলো:
পোস্টের বিষয়বস্তু
থানকুনি পাতার উপকারিতা
-
হজমে সহায়তা করে
-
গ্যাস্ট্রিক, অম্লতা, ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা ও বদহজমে উপকারী।
-
-
স্নায়ু ও মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ায়
-
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
-
মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও অনিদ্রা কমাতে কার্যকর।
-
-
ক্ষত সারাতে সহায়ক
-
পাতার রস ক্ষত বা কাটাছেঁড়া স্থানে দিলে দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
-
-
রক্ত পরিশোধন করে
-
রক্তের বিষাক্ত উপাদান দূর করে, ত্বক পরিষ্কার রাখতে সহায়ক।
-
-
লিভার ও কিডনির জন্য ভালো
-
লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে।
-
-
ত্বকের যত্নে কার্যকর
-
ব্রণ, একজিমা, অ্যালার্জি ও দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
-
-
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
-
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রাখতে পারে।
-
-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
-
শরীরকে জীবাণু প্রতিরোধে সক্ষম করে।
-
থানকুনি পাতার অপকারিতা
অতিরিক্ত সেবন বা ভুলভাবে ব্যবহার করলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে—
-
-
অতিরিক্ত খেলে বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া হতে পারে।
-
স্নায়ু শান্ত রাখে বলে অতিরিক্ত খেলে ঘুম বাড়তে পারে।
-
দীর্ঘমেয়াদি বেশি সেবনে লিভারের ক্ষতি হতে পারে।
-
কারও কারও ত্বকে চুলকানি, র্যাশ বা অ্যালার্জি হতে পারে।
-
হরমোনে প্রভাব ফেলতে পারে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সেবন করা উচিত নয়।
-
সঠিকভাবে ব্যবহার করলে থানকুনি পাতা একটি উপকারী ভেষজ, তবে নিয়মিত বা অতিরিক্ত খাওয়ার আগে ডাক্তার/আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো।