মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Homo sapiens। Homo = মানুষজাতি। sapiens = বুদ্ধিমান বা জ্ঞানসম্পন্ন । অর্থাৎ, Homo sapiens মানে “বুদ্ধিমান মানুষ”। Homo sapiens আনুমানিক ৩০–৩৫ হাজার বছর আগে আধুনিক রূপে উদ্ভূত হয়।
“বিদ্রোহী” শব্দের অর্থ হলো যিনি কোনো কর্তৃপক্ষ, নিয়ম বা সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে উঠেন; যাৎপর্য্যতে কেউ আইন বা শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তাকে বিদ্রোহী বলা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বিদ্রোহী = আইন, নিয়ম বা শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইকারী।
বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী হলো পদ্মা নদী। তবে বিষয়টি একটু বিস্তারিতভাবে বলা যায় — পদ্মা নদী (ভারতে গঙ্গা নামে পরিচিত) বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশের পর নাম হয় পদ্মা।
এটি বাংলাদেশের রাজশাহী, পাবনা, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও মাদারীপুর জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়। বাংলাদেশের অংশে পদ্মা নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৬৬ কিলোমিটার।
কিছু সূত্রে যমুনা নদীকেও দীর্ঘতম বলা হয়, কারণ ব্রহ্মপুত্র নদ বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশের পর যমুনা নামে পরিচিত হয় এবং এর দৈর্ঘ্যও প্রায় ৩৪৬ কিলোমিটার।
তবে সরকারি ও অধিকাংশ ভূগোলবিদের মতে — বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী: পদ্মা নদী।
সাগরকন্যা পটুয়াখালী এলাকার ভৌগোলিক নাম । পটুয়াখালীতে অবস্থিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত একই জায়গা থেকে দেখার দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত, যা পর্যটকদের কাছে এই অঞ্চলটিকে "সাগরকন্যা" নামে পরিচিত করে তুলেছে।
পদ্মা সেতু বর্তমানে বিশ্বের ১২২তম দীর্ঘতম সেতু হিসেবে পরিচিত। এটি বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সেতু, যার মোট দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। সেতুটির উপরের স্তরে চার লেনের সড়ক এবং নিচের স্তরে একটি রেলপথ রয়েছে। এটি ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন
বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সেতু হিসেবে পরিচিত "ডানিয়াং-কুনশান গ্র্যান্ড ব্রিজ" চীনে অবস্থিত, যার দৈর্ঘ্য ১৬৪.৮ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু তার তুলনায় অনেক ছোট হলেও, এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটিয়েছে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে
সুতরাং, পদ্মা সেতু বিশ্বের ১২২তম দীর্ঘতম সেতু হলেও, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো।