বাংলার ঋতুচক্রে শীত এমন একটি ঋতু, যা প্রকৃতিকে দেয় এক নতুন রূপ, নতুন প্রশান্তি। সকালে কুয়াশার চাদরে ঢাকা মাঠ, শিশিরভেজা ঘাস, আর সূর্যের মিষ্টি আলো—সব মিলিয়ে শীতের সকাল যেন এক অপূর্ব দৃশ্যপট। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কাছে শীতের সকাল অনুচ্ছেদ একটি জনপ্রিয় বিষয়, কারণ এই ঋতু প্রকৃতি ও মানুষের জীবনে এনে দেয় এক বিশেষ অনুভূতি।
শীতের সকাল রচনা পড়লে বোঝা যায়, মানুষজন কেমনভাবে তাদের দিন শুরু করে—কেউ আগুন পোহায়, কেউ গরম চা পান করে, আবার কৃষকরা বেরিয়ে পড়ে মাঠে। পাখিদের কিচিরমিচির ধ্বনি, হালকা কুয়াশা, আর শিশিরে ভেজা ফুল শীতের সকালকে আরও মনোমুগ্ধকর করে তোলে।
শীতের সকাল
ভূমিকা:
বাংলাদেশে ছয়টি ঋতুর মধ্যে শীত একটি মনোরম ঋতু। এই ঋতুর সকাল প্রকৃতির এক বিশেষ রূপ ধারণ করে। কুয়াশায় ঢাকা শীতের সকাল প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে এক অনন্য আনন্দের সময়।
শীতের সকালের দৃশ্য:
শীতের সকালে চারপাশে ঘন কুয়াশা দেখা যায়। গাছপালা, ঘাস, ছাদ—সবকিছুই শিশিরে ভেজা থাকে। সূর্যের আলো কুয়াশা ভেদ করে যখন ধীরে ধীরে বের হয়, তখন প্রকৃতি যেন সোনার রঙে রাঙিয়ে ওঠে। গ্রামের মানুষদের কেউ কেউ খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহায়, আর শিশুরা আগুনের চারপাশে বসে হাসিখুশি থাকে। মাঠে দেখা যায় চাষিরা জমিতে কাজ করছে।
খাবার ও আনন্দ:
শীতের সকালে পিঠা-পায়েস খাওয়ার আনন্দই আলাদা। মা ও দাদিমারা ভাপা, চিতই, পাটিসাপটা পিঠা বানান। গরম চা বা দুধের সঙ্গে পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে! শিশুরা দৌড়ে বেড়ায়, কেউ ঘুড়ি উড়ায়, কেউ আবার সূর্যের তাপে শরীর সেঁকে নেয়।
গ্রাম ও শহরের শীতের সকাল:
গ্রামে শীতের সকাল একটু বেশি মনোরম। কুয়াশা, পাখির ডাক, মাঠে গরু চরানো—সব মিলিয়ে এক অপূর্ব দৃশ্য। শহরে যদিও কুয়াশা কম দেখা যায়, তবু স্কুলে যাওয়া শিশুদের গায়ে মোটা সোয়েটার, স্কার্ফ আর টুপি পরে দেখা যায়।
উপসংহার:
শীতের সকাল প্রকৃতির এক সুন্দর উপহার। এই সময়ের ঠান্ডা হাওয়া, শিশিরভেজা ঘাস আর পিঠা-পায়েসের ঘ্রাণ—সব মিলিয়ে সত্যিই মনোমুগ্ধকর ও আনন্দদায়ক।
এটি শান্তি, প্রশান্তি ও জীবনের সরলতার এক মধুর অনুভূতি। তাই শীতের সকাল অনুচ্ছেদ ও রচনা আমাদেরকে শুধু সাহিত্যচর্চায় নয়, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসায়ও অনুপ্রাণিত করে।