স্ত্রী সহবাসের দোয়া পাঠ করলে শয়তান দাম্পত্য সম্পর্কে হস্তক্ষেপ করতে পারে না, সন্তান জন্মালে সে আল্লাহর সুরক্ষায় থাকে এবং দাম্পত্য সম্পর্ক আরও মজবুত হয়।
স্ত্রী সহবাসের দোয়া
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “যখন তোমাদের কেউ তার স্ত্রী’র সাথে সহবাস করতে চায়, তখন সে যেন বলে —”
بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ، وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহ, আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ-শাইত্বান, ওয়া জান্নিবিশ-শাইত্বানা মা রাযাক্তানা
অর্থ: “আল্লাহর নামে, হে আল্লাহ! আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখুন এবং আপনি আমাদের যা সন্তানেরূপে দান করবেন, তাকে শয়তান থেকে দূরে রাখুন।” (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
ফযিলত: এই দোয়া পড়ে সহবাস করলে যদি ঐ মিলনে সন্তান জন্ম নেয়, তবে শয়তান তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
আরো পড়ুন – গোসলের ফরজ কয়টি ? ফরজ গোসলের নিয়ম ও দোয়া
সহবাসের আদব ও নিয়ম
-
নিয়ত: সহবাসের উদ্দেশ্য হোক — আল্লাহর হালাল পথে নিজের চাহিদা পূরণ ও দাম্পত্য ভালোবাসা বৃদ্ধি।
-
দোয়া পড়ে শুরু করা (উপরের দোয়া)।
-
লজ্জাশীলতা রক্ষা করা: সহবাসের সময় সম্পূর্ণ নগ্ন না হয়ে কাপড় দিয়ে কিছুটা ঢাকা রাখা উত্তম।
-
স্ত্রীর প্রতি কোমল আচরণ:
হঠাৎ করে নয়; আগে ভালোবাসা, স্নেহ ও আদর-ভালোবাসার মাধ্যমে তাকে প্রস্তুত করা সুন্নত। -
দুজনেরই অধিকার: স্বামী যেমন নিজের তৃপ্তি চায়, স্ত্রীর তৃপ্তির প্রতিও মনোযোগ দিতে হবে — এটি ইসলামী আদবের অংশ।
-
সম্মতির গুরুত্ব: জোরপূর্বক নয়, পরস্পর সম্মতি থাকা আবশ্যক।
-
কিবলার দিকে মুখ করে সহবাস না করা।
-
মাসিক বা নিফাস অবস্থায় সহবাস করা হারাম। তবে সে সময়ে স্ত্রীর অন্যান্য অংশে আদর করা বৈধ, শুধু যৌনাঙ্গে সহবাস নিষিদ্ধ।
-
পেছন দিক দিয়ে (যোনিপথ ব্যতীত) সহবাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
-
সহবাস শেষে গুসল ফরজ। গুসলের নিয়ম: মাথা, দেহ ও সমস্ত অঙ্গ ভালোভাবে ধোয়া, যাতে কোথাও পানি না বাকি থাকে।
সহবাস শেষে দোয়া (সাধারণ যিকির হিসেবে)
কোন নির্দিষ্ট সহিহ দোয়া নেই, তবে নিম্নোক্ত যিকির করা ভালো: “আলহামদুলিল্লাহিল্লাযি খালাকা মিনাল মাই মি বাশারান”
অর্থ: “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি পানির (বীজের) মধ্য থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন।”
স্ত্রী সহবাসের দোয়া, এর অর্থ, নিয়ম ও ইসলামিক গুরুত্ব, যা জানলে আপনি আপনার দাম্পত্য জীবনকে আরও বরকতময় ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারবেন।