কাজের চাপ, ঘুমের অভাব, মানসিক চাপ, গরম, ঠান্ডা বা রক্তচাপের পরিবর্তনের কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় এই ব্যথা এতটাই তীব্র হয় যে দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হয়ে পড়ে। তাই সঠিক ওষুধ জানা থাকলে দ্রুত আরাম পাওয়া সম্ভব। এজন্যই জানা জরুরি মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এবং তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কে।
মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম
মাথাব্যথা (Headache) কমানোর জন্য ব্যবহৃত অনেক ধরনের ওষুধ আছে — তবে কোনটা ব্যবহার করবেন তা নির্ভর করে মাথাব্যথার ধরন, তীব্রতা, ও আপনার শারীরিক অবস্থা (যেমন উচ্চ রক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক, লিভার সমস্যা ইত্যাদি)-এর ওপর। নিচে সাধারণভাবে ব্যবহৃত ১০টি প্রচলিত ওষুধের নাম দেওয়া হলো
সাধারণ ব্যথানাশক
১. Paracetamol (Tylenol, Napa, Ace) – হালকা থেকে মাঝারি মাথাব্যথায় ব্যবহৃত।
২. Ibuprofen (Advil, Brufen, Ibugesic) – প্রদাহজনিত বা মাইগ্রেন টাইপ ব্যথায় ভালো কাজ করে।
৩. Aspirin – কিছু মাইগ্রেনে কার্যকর, তবে গ্যাস্ট্রিক বা আলসার থাকলে এড়িয়ে চলা উচিত।
৪. Naproxen (Naprosyn, Naprox) – দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র মাথাব্যথায় ব্যবহার হয়।
৫. Diclofenac (Voltaren, Cataflam) – তীব্র মাথাব্যথায় স্বল্প সময়ের জন্য দেওয়া হয়।
মাইগ্রেন নির্দিষ্ট ওষুধ
৬. Sumatriptan (Imitrex, Suminat) – মাইগ্রেনের আকস্মিক আক্রমণে দ্রুত উপশম দেয়।
৭. Rizatriptan (Maxalt) – ট্রিপটান শ্রেণীর আরেকটি কার্যকর মাইগ্রেন ওষুধ।
৮. Ergotamine (Cafergot) – পুরোনো কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে কার্যকর; চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার নয়।
৯. Propranolol (Inderal) – মাইগ্রেন প্রতিরোধে (প্রিভেন্টিভ মেডিসিন) ব্যবহৃত হয়।
১০. Amitriptyline / Flunarizine / Topiramate – মাইগ্রেন প্রতিরোধে (প্রোফাইল্যাক্সিস) ব্যবহৃত হয়, নিয়মিত সেবন করতে হয় চিকিৎসকের পরামর্শে।
আরো পড়ুন – মাথা ঘোরা ও শরীর দুর্বল কিসের লক্ষণ
সতর্কতা
-
নিজের মতো করে দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।
-
যাদের গ্যাস্ট্রিক, লিভার, কিডনি বা হার্টের সমস্যা আছে, তাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ করা উচিত।
-
ঘন ঘন মাথাব্যথা হলে তা মাইগ্রেন, চোখের সমস্যা, সাইনাস, বা উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ হতে পারে।
মাথা ব্যথার ওষুধের নাম কি, তাদের কার্যকারিতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং কখন কোনটি ব্যবহার করা নিরাপদ। মাথা ব্যথা শুধুমাত্র এক মুহূর্তের অস্বস্তি নয়—এটি শরীরের ক্লান্তি ও মানসিক চাপের বার্তা। তাই সচেতন ব্যবহারই হতে পারে স্থায়ী সমাধানের চাবিকাঠি।