যারা ইউরিক এসিডে ভুগছেন, তাদের জন্য ইউরিক এসিডে নিষিদ্ধ খাবার সম্পর্কে সচেতন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে রোগের ঝুঁকি কমে এবং শরীর সুস্থ থাকে।
ইউরিক অ্যাসিড (Uric Acid) বেশি হলে, যাকে সাধারণত গাউট (Gout) বা ইউরিক অ্যাসিডের অতিরিক্ত জমা হিসেবে দেখা যায়, তখন কিছু খাবার এড়ানো উচিত কারণ এগুলো ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি করতে পারে। এখানে প্রধান নিষিদ্ধ বা সীমিত খাবারের তালিকা দেওয়া হলো:
ইউরিক এসিডে নিষিদ্ধ খাবার
১. উচ্চ পুরিনযুক্ত খাবার
পুরিন হলো এক প্রকার যৌগ যা ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে।
-
মাংস ও মাংসের অংশ:
-
গরুর কিমা, মাংসের লিভার, কিডনি, হার্ট
-
হাঁস-মুরগির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ
-
হাঁস-মুরগির স্কিন বেশি পরিমাণে
-
-
সামুদ্রিক খাবার:
-
সামুদ্রিক ঝিনুক, চিংড়ি, কাঁকড়া
-
সালমন, সার্ডিন, ম্যাকারেল, হেরিং
-
২. আলকোহল এবং বিয়ার
-
বিশেষ করে বিয়ার ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়।
-
হালকা মদও সমস্যা করতে পারে।
৩. মিষ্টি ও শর্করা বেশি খাবার
-
চিনিযুক্ত পানীয়, সোডা, জুস
-
মিষ্টি কেক, পেস্ট্রি
-
হাই ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপযুক্ত খাবার
৪. কিছু শাক-সবজি (সীমিত)
-
মাশরুম, স্পিনাচ, শিম
শাকসবজি সাধারণত স্বাস্থ্যকর, কিন্তু যদি ইউরিক অ্যাসিড খুব বেশি হয়, অতিরিক্ত পরিমাণ এড়ানো ভালো।
৫. প্রসেসড খাবার ও ফাস্টফুড
-
সস, প্রিজারভড খাবার, জাঙ্কফুড
-
তেল-মশলা বেশি খাবার
আরো পড়ুন –
প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত
পরামর্শ
-
প্রচুর পানি পান করুন – ইউরিক অ্যাসিড বের হতে সাহায্য করে।
-
লো-ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার এবং সবজি বেশি খান।
-
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
-
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ নিন।
উপসংহার:
ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা মানে সুস্থ জীবনযাপন নিশ্চিত করা। তাই স্বাস্থ্যসম্মত জীবনধারার জন্য ইউরিক এসিডে নিষিদ্ধ খাবার এড়ানো এবং পুষ্টিকর বিকল্প গ্রহণ করা অপরিহার্য। এটি আমাদের শরীরকে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখে।