আয়তক্ষেত্র একটি চতুর্ভুজ আকৃতির জ্যামিতিক আকার, যার বিপরীত দিকের বাহুগুলো সমান ও সমান্তরাল এবং সব কোণ সমান, অর্থাৎ ৯০ ডিগ্রি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্যামিতিক রূপ যা দৈনন্দিন জীবনে বহুল ব্যবহৃত হয়, যেমন: বই, খাতা, দরজা ইত্যাদি।
এই গাণিতিক সূত্রগুলো ব্যবহার করে সহজেই আয়তক্ষেত্রের মাপ নির্ণয় করা যায়। আয়তক্ষেত্রের ধারণা জ্যামিতি শেখার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
পোস্টের বিষয়বস্তু
আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র
আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য ×প্রস্থ (বর্গ মিটার)
আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র তৈরি করার পূর্বে আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল কি তা জানা দরকার। আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য প্রস্থের গুণফলকে আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল বলে। অর্থাৎ, আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্যকে প্রস্থ দ্বারা গুণ করলে ক্ষেত্রফল পাওয়া যায়। অতএব, আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র লিখলে দাঁড়ায়, আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল = (দৈর্ঘ্য × প্রস্থ) বর্গ একক।
আয়তক্ষেত্রের পরিসীমা নির্ণয়ের সূত্র
আয়তক্ষেত্রের পরিসীমা = ২(দৈর্ঘ্য + প্রস্থ) একক।
একটি আয়তক্ষেত্রের পরিসীমাকে আয়তক্ষেত্রের বাইরের সীমানা দ্বারা আচ্ছাদিত মোট দূরত্ব হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। এটি একক দৈর্ঘ্যে পরিমাপ করা হয়।
আয়তক্ষেত্রের কর্ণ
আয়তক্ষেত্রের দুইটি বিপরীত শীর্ষবিন্দু যোগ করলে যে রেখাংশ উৎপন্ন হয় তাকে আয়তক্ষেত্রের কর্ণ বলে। আয়তক্ষেত্রের এরূপ দুই জোড়া বিপরীত শীর্ষ বিন্দু সংযুক্ত করলে দুইটি কর্ণ পাওয়া যায়। আয়তক্ষেত্রের দুইটি কর্ণের দৈর্ঘ্য পরস্পর সমান। আবার, আয়তক্ষেত্রের কর্ণ দুইটি পরস্পরকে সমদ্বিখণ্ডিত করে।
আয়তক্ষেত্রের যেকোনো কর্ণ আয়তক্ষেত্রটিকে যে দুইটি ত্রিভুজে বিভক্ত করে তারা পরস্পর সর্বসম ত্রিভুজ। অধিকিন্তু, এই ত্রিভুজ দুইটির প্রত্যেকটি সমকোণী ত্রিভুজও বটে।