কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা অবদান অনেক বিস্তৃত ও গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা কৃষি উন্নত করতে সরাসরি ভূমিকা রাখছে।
কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা
মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে খাদ্য অন্যতম। এই খাদ্যের মূল উৎস হলো কৃষি। বিজ্ঞান আমাদের দৈনন্দিন জীবনের মতো কৃষিক্ষেত্রেও অসামান্য অবদান রেখেছে। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে কৃষি আজ অনেক উন্নত ও ফলপ্রসূ হয়েছে।
প্রথমত, বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জাতের বীজ উদ্ভাবন করা হচ্ছে, যা কম সময়ে বেশি ফসল দেয় এবং রোগবালাই প্রতিরোধী। উদাহরণস্বরূপ, উচ্চফলনশীল ধান ও গমের জাত কৃষকদের আয় বাড়িয়েছে।
দ্বিতীয়ত, সেচব্যবস্থার উন্নতি কৃষিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। টিউবওয়েল, গভীর নলকূপ, স্প্রিঙ্কলার এবং ড্রিপ সেচ পদ্ধতি শুষ্ক মৌসুমেও জমিকে সেচ দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।
তৃতীয়ত, কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার কৃষিকে করেছে সহজ ও দ্রুত। লাঙল টানা গরুর জায়গায় আজ ট্র্যাক্টর, পাওয়ার টিলার, কম্বাইন্ড হারভেস্টার ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে সময় ও শ্রম দুটোই বাঁচছে।
চতুর্থত, আধুনিক সার, কীটনাশক ও জৈব সার ব্যবহারে ফসলের উৎপাদন বেড়েছে। পাশাপাশি জৈব চাষের মাধ্যমে মাটির উর্বরতা ও পরিবেশ রক্ষা সম্ভব হচ্ছে।
এছাড়া আবহাওয়া পূর্বাভাস, স্যাটেলাইট ছবি, মোবাইল অ্যাপ এবং কৃষি সম্প্রসারণ সেবার মাধ্যমে কৃষকরা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে।
সবশেষে বলা যায়, কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান বাংলাদেশের অর্থনীতি ও খাদ্যনিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানসম্মত কৃষি পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা একদিকে যেমন কৃষকের জীবনমান উন্নত করতে পারি, অন্যদিকে সমগ্র জাতির খাদ্য চাহিদা পূরণ করাও সম্ভব।