বৃত্তের বৈশিষ্ট্য সমূহ : বৃত্তের পরিধি, কেন্দ্র, ব্যাস ও জ্যা কাকে বলে

বৃত্তের বৈশিষ্ট্য: বৃত্ত একটি সমতল জ্যামিতিক আকার, যার সব বিন্দু একটি নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে সমদূরত্বে থাকে। নির্দিষ্ট বিন্দুটিকে কেন্দ্র এবং দূরত্বকে ব্যাসার্ধ বলে। বৃত্তের ব্যাস কেন্দ্র দিয়ে অঙ্কিত রেখা, যা ব্যাসার্ধের দ্বিগুণ। বৃত্তের পরিধি হল এর চারপাশের দৈর্ঘ্য । বৃত্তে অসংখ্য ব্যাসার্ধ ও ব্যাস থাকে। সব ব্যাস সমান দৈর্ঘ্যের হয়। বৃত্তে স্পর্শক হলো এমন রেখা যা এক বিন্দুতে ছোঁয়। জ্যামিতি, প্রকৌশল ও স্থাপত্যে বৃত্তের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার রয়েছে।

বৃত্তের বৈশিষ্ট্য

বৃত্তের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলোঃ

  1. সংজ্ঞা – একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্র থেকে সমদূরত্বে অবস্থিত অসংখ্য বিন্দুর সমষ্টি বৃত্ত।
  2. কেন্দ্র – বৃত্তের মধ্যবর্তী নির্দিষ্ট বিন্দু।
  3. ব্যাসার্ধ – কেন্দ্র থেকে বৃত্তের যেকোনো বিন্দু পর্যন্ত দূরত্ব।
  4. ব্যাস – কেন্দ্র দিয়ে অঙ্কিত সরলরেখা, যা বৃত্তকে দুই সমান ভাগে বিভক্ত করে; ব্যাস = ২ × ব্যাসার্ধ।
  5. পরিধি – বৃত্তের চারপাশের দৈর্ঘ্য, সূত্র: C=2πr
  6. ক্ষেত্রফল – সূত্র: A=πr2
  7. স্পর্শক – বৃত্তকে মাত্র এক বিন্দুতে স্পর্শ করে।
  8. জ্যা – বৃত্তের যেকোনো দুটি বিন্দুকে যুক্তকারী সরলরেখা।

 

সংগঠন কাকে বলে ? কার্যভিত্তিক ও সরলরৈখিক সংগঠন

বৃত্তের পরিধি কাকে বলে

বৃত্তের পরিধি হলো বৃত্তের চারপাশের মোট দৈর্ঘ্য।
অর্থাৎ, বৃত্তের প্রান্ত বরাবর একবার ঘুরে আসতে যতটা দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়, সেটিই পরিধি।

 

বৃত্তের কেন্দ্র কাকে বলে

বৃত্তের কেন্দ্র হলো সেই নির্দিষ্ট বিন্দু, যেখান থেকে বৃত্তের সব বিন্দুর দূরত্ব সমান হয়।

অন্যভাবে বলা যায়, বৃত্তের ব্যাসার্ধ যেখান থেকে শুরু হয় এবং সব দিকে সমানভাবে বিস্তৃত হয়, সেই বিন্দুই কেন্দ্র।
গণিতে কেন্দ্রকে সাধারণত O দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

উদাহরণ: যদি কাগজে একটি বৃত্ত আঁকা হয়, তাহলে কম্পাসের সূঁচ যেখানটিতে স্থির থাকে এবং ঘুরে ঘুরে রেখা আঁকে—সেই বিন্দুই বৃত্তের কেন্দ্র।

বৃত্তের ব্যাস কাকে বলে

বৃত্তের ব্যাস হলো একটি সরলরেখা, যা বৃত্তের কেন্দ্র দিয়ে অতিক্রম করে এবং বৃত্তের দু’টি বিন্দুকে যুক্ত করে।

এটি বৃত্তের সবচেয়ে দীর্ঘ জ্যা এবং এর দৈর্ঘ্য ব্যাসার্ধের দ্বিগুণ।

বৃত্তের জ্যা কাকে বলে

বৃত্তের জ্যা হলো একটি সরলরেখা, যা বৃত্তের যেকোনো দুটি বিন্দুকে যুক্ত করে কিন্তু কেন্দ্র দিয়ে অতিক্রম করাও বাধ্যতামূলক নয়।

  • সবচেয়ে দীর্ঘ জ্যা হলো ব্যাস, কারণ এটি কেন্দ্র দিয়ে যায়।

  • জ্যা কখনো বৃত্তের বাইরে থাকে না; এটি সম্পূর্ণভাবে বৃত্তের ভেতরে থাকে।

উদাহরণ: কাগজে আঁকা বৃত্তে যদি আপনি প্রান্তের দুটি বিন্দুকে সোজা রেখা দিয়ে যুক্ত করেন, সেই রেখাটিই বৃত্তের জ্যা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *