গনতন্ত্র হলো এমন এক শাসনব্যবস্থা যেখানে নীতিনির্ধারণে বা প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সকল সদস্য বা নাগরিকের সমান অধিকার থাকে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সদস্য বা নাগরিকদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ থাকে। নাগরিক বা সদস্যদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ আইন প্রস্তাবনা, তৈরী এবং প্রণয়নের কাজ করে থাকেন।
গণতন্ত্র শব্দটি যদিও সাধারণভাবে কোন রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থা বা রাজনৈতিক পরিমন্ডলের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে, তবুও সংস্থা কিংবা নানা ধরনের সংগঠনের ক্ষেত্রেও গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রযোজ্য হতে পারে।
পোস্টের বিষয়বস্তু
গনতন্ত্র কাকে বলে ?
গণতন্ত্র (Democracy) হলো এমন একটি শাসনব্যবস্থা, যেখানে জনগণই রাষ্ট্রের শাসনের প্রকৃত উৎস ও মালিক। জনগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাদের শাসক নির্বাচন করে এবং শাসনব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করে।
“জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য, জনগণের শাসনই গণতন্ত্র।” — আব্রাহাম লিংকন
“গণতন্ত্র একটি শাসনব্যবস্থা, যেখানে জনগণ সরাসরি বা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে শাসনে অংশগ্রহণ করে।”
“গণতন্ত্র এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে সকল নাগরিক সমান অধিকার নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় মত প্রকাশ ও অংশগ্রহণ করতে পারে।”
আরো পড়ুন ;- ব্যাসার্ধ কাকে বলে ?
আধুনিক গনতন্ত্রের জনক কে
আধুনিক গণতন্ত্রের জনক বলা হয় জন লক (John Locke)-কে। জন লক ছিলেন একজন ইংরেজ দার্শনিক (১৬৩২–১৭০৪)। তিনি ব্যক্তিস্বাধীনতা, আইনের শাসন, এবং জনগণের অধিকার–এই সবকিছুর পক্ষে মত দিয়েছিলেন। তার রাজনৈতিক চিন্তা আধুনিক গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করে।
উপসংহার
প্রাচীন গ্রীসে যখন গণতন্ত্রের যাত্রা হয়, তখন থেকে কালের বিবর্তনে গণতন্ত্র আজ এমন আধুনিক রূপ লাভ করেছে। যেখানে জনগণই শেষ কথা। জনগণ তাদের ইচ্ছামতো শাসক নির্বাচন করবে। তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করবে।